১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:৩০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আজ পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ

আজ পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ । যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালিত হবে। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাদ আসর জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাহফিলে ওয়াজ পেশ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম।

পবিত্র এ রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিজরি সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে লাইলাতুল মেরাজ পালন করেন।

ইসলামে এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। মেরাজের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি পার করে থাকেন। অনেকে পবিত্র মেরাজে নফল রোজা রাখেন। দান-সদকাও করেন।

ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মেরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহ?র সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন।

পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইল ও সুরা নজমের আয়াত, তাফসির এবং সব হাদিসগ্রন্থে মেরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র এই রাতে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে নবীজি প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে গমন করেন।

সেখানে হজরত আদম (আ.)-সহ অন্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা.) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহর প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন। আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।