৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:০৪

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

খেলাধূলা যুব সমাজকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে – এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, খেলাধূলা যুব সমাজকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে। বর্তমান সরকার ক্রীড়াঙ্গণের সম্প্রসারণে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। এরই মাঝে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম স্থাপন করা হচ্ছে। নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়ও একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কলিমনগরে এমপি আবু জাহির গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় লেখাপড়ার পাশাপাশি তরুণ সমাজকে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাসহ এমপি আবু জাহিরের মাধ্যমে হবিগঞ্জে যে উন্নয়ন সম্পাদন হয়েছে তা সারাদেশে মডেলস্বরূপ। ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শায়েস্তাগঞ্জে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানান।

টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চুনারুঘাটের ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমী। কলিমনগর ফুটবল একাডেমীকে ২-০ গোলে পরাজিত করে তারা। প্রায় ৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে কলিমনগর মাঠে ফাইনাল খেলার প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।

পরবর্তীতে দ্বিতীয়ার্ধ্বের শেষের দিকে চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমীর পক্ষে বিদেশী দুই খেলোয়াড় দুইটি গোল করতে সক্ষম হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমনের খেলায় অংশগ্রহণ এবং বিদেশী কয়েকজন খেলোয়াড়কে ঘিরে পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই মাঠ ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফেরদৌস ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মুকিত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতা আব্দুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এমপি আবু জাহির গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৪টি দল অংশ নেয়। খেলার প্রতিদিনই হাজারো দর্শকের সমাগম ঘটে।