জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

চুনারুঘাটে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রির মহোৎসব !! বসত- বাড়ি হুমকির মুখে

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে ঐতিহ্যবাহী রেমা – কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য পর্যটন এলাকা কালেঙ্গায় বহু উঁচু পাহাড়ি টিলা জেলা , উপজেলা , পুলিশ প্রশাসনকে নাম ভাঙিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে ।

নীরব রয়েছে প্রশাসন । দীর্ঘ দিন ধরে শুকনো মৌসুমে উঁচু টিলা মাটি কেটে এলাকার প্রভাবশালী মহল হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ।

ঐসব এলাকায় ঘর- বাড়ি পাশে পাহাড়ি উঁচু টিলার মাটি কেটে ট্রাক্টর , ড্রাম ট্রাক , ডায়না ট্রাক , পাওয়ার ট্রলি যোগে অবাধে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে শহর ও গ্রামের হাট-বাজার , বাসা-বাড়ি , পুকুর -ডোবা সহ বিভিন্ন স্থানে ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নে রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য কালেঙ্গা উঁচু টিলা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে চলছে পাহাড়ি মাটি কাটা মহোৎসব । এ যেন দেখার কেউ নেই ?

স্থানীয় সচেতন লোক সূত্রে জানাযায় , মিরাশি ইউনিয়নের লাল কেয়া আদর্শ গ্রামের মৃত – এবাদুর রহমানের ছেলে গ্রাম চৌকিদার মোঃ ইউনুস আলী , চামলতলী গ্রামের আঃ শহীদের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া , নামমাত্র কথিত সংবাদ কর্মী জসিম উদ্দিন সহ আরো অনেক সংঘবদ্ধ চক্ররা সমন্বয়ে কালেঙ্গা পাহাড় টিলার মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ২/৩ জন ব্যক্তি ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানাযায় , দীর্ঘ দিন ধরে ফরেস্ট রেঞ্জ বন ভিটের লোকজন রেখে অবৈধ ভাবে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কালেঙ্গা পাহাড়ি উঁচু টিলার মাটি কেটে পাচার করছে ঐ সংঘবদ্ধ চক্র । তারা আরো বলেন , কালেঙ্গা টিলা ছাড়া চামলতলী ছোট খাট বাজারে পশ্চিমে উঁচু টিলা মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে যুবলীগ ইউনিয়ন নেতা আব্দুল হামিদ সহ এলাকায় আরো কয়েকটি উঁচু টিলা মাটি ও বালু ট্রাক্টর , ড্রাম ট্রাক , ডায়না, পাওয়ার ট্রলি যোগে অবাধে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে সস্তায় বিক্রি ।

এ-সব সংঘবদ্ধ চক্ররা করাঙ্গী নদী অবৈধ ভাবে বালু ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সহ বনবিভাগের রাতের আধারে গাছ কেটে উজাড় করে পাচার করছে ।সংঘবদ্ধ চক্রটির বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ , জেলা প্রশাসক , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কালেঙ্গা পাহাড় টিলার মাটি কাটা এবং করাঙ্গী নদী থেকে বালু উওোলনের অনুমতি নিয়েছে বলে এলাকার লোকজন মুখে প্রচার করে চলছে অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু ব্যবসা করে যাবে কিন্তু প্রশাসন এসে কিছু করতে পারবে না।

ঐসব চক্র বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না এলাকার লোক জন । অবৈধ ভাবে পাহাড়ি উঁচু টিলা মাটি কাটা ও বালু উওোলন প্রতিবাদ করলেই নিরীহ লোকজন উপর নেমে আসে নির্যাতন – অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি । উঁচু টিলা মাটি কেটে নেওয়ায় বহু বাড়ি ঘর ঝুকিপূর্ণ বসবাস করছে । কোনো কোনো সচেতন নিরিহ পরিবার জান মালের নিরাপত্তা জন্য এ-সব ঝুকিপূর্ণ উঁচু টিলা থেকে টিলার নীচে ঘর-বাড়ী তৈরি করে নিচ্ছেন । এমনকি ঐসব এলাকায় লোকজন চলাচলের কাঁচা মাটির রাস্তা বড় বড় খানাখন্দ পরিণত হয়েছে । কালেঙ্গা পাহাড়ি উঁচু টিলা মাটি কেটে ও করাঙ্গী নদী বালু পাচার প্রতিরোধে ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান উপদেষ্টাও প্রশাসনের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান সচেতন মহল ।

রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য কালেঙ্গা রেঞ্জ থাকলে ও বন বিভাগ রহস্য জনক কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ।

কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন , কালেঙ্গা উঁচু টিলা মাটি কাটা আমার জানা নেই । যদি বন এলাকার ভেতরে এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।

চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান , এ বিষয় গুলো শুনেছি টিলার উপর বসবাস করছে যাহারা ঝুকিপূর্ণ থেকে রক্ষা জন্য নীচে ভিট বরাট করে বসত ঘর-বাড়ি তৈরি বসবাস করছে । এমন না পাহাড়ি টিলা মাটি ও করাঙ্গী বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আমার জানা নেই । এমন কর্মকান্ডে যেকেউ দলের হউক না কেন অবৈধ ভাবে পাহাড়ি মাটি ও নদী বিক্রি করলে জড়িত অপরাধী বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।