দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী সিন্ডিকেট হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদী থেকে দিবারাত্রি বালু তোলা ও পাচারের অবাধে ধুম চলছে ।
সরকারি কোনো ইজারা না থাকায় প্রতিদিন নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু তুলে – সেগুলো নৌকায় করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
যত্রতত্র বালু তোলার কারণে এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকা এবং ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের ব্রীজ ও রেল ব্রীজের নীচ থেকে উত্তোলন। উভয় পাড়ের ভাঙনে নষ্ট হচ্ছে ফসল জমি , জনপথ, রাস্তা ঘাট, কবরস্থান ও ব্রীজে গুলো ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে ।
যে কোনো সময় ঘটতে পারে ব্রীজ দুর্ঘটনা ।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা জানান , দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ ভাবে সুতাং নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলো, এবং রেল ব্রীজ ও মহাসড়কের ব্রীজ ।
এদিকে বিগত ২০১৯ সালে ১৯ নভেম্বর সুতাং নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার গোপন সংবাদ পেয়ে আলগাপুর নামক স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিসট্রে সুমি আক্তার অভিযান চালিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামের বালু ব্যবসায়ী রফিক মিয়াকে নৌকা সহ বালু বোঝাই আটক করে এবং ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ।
এরপর বিগত উপজেলা প্রশাসন বলছে , অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এমন প্রতিশ্রুতির কথা বার বার বলা হলেও এখন পর্যন্ত বালু খেকোদের দমনে দমনে হার্ড লাইনে যাওয়ার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।
সুতাং নদী থেকে প্রতিদিন দিবারাত্রি অবৈধ ভাবে বালু পাচারের জন্য নুরপুর ইউনিয়নের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে ।
বিভিন্ন সময় প্রশাসন চুনোপুঁটি ধরা পড়লে ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রকাশ্যে আসে না সিন্ডিকেট চক্র ।
সিন্ডিকেট চক্ররা মুখ বন্ধ রাখার জন্য মাসোহারা দিয়ে যাচ্ছে অনেক শক্তি শালী লোককে দিয়ে থাকে ।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় , কিশোরগঞ্জ জেলার আদমপুর , হবিগঞ্জের লাখাই এবং সদর উপজেলার কাটা খালী এলাকা থেকে ছোট – বড় নৌকা নিয়ে এসে মররা, লাদিয়া, পুরাসুন্দা , শ্রীরামপুর , মদনপুর, নোয়াগাঁও , আলগাপুর , সুতাং ব্রীজের পাশে , সুতাং রেলওয়ে ব্রীজের পাশে এবং মহাসড়কের ব্রীজের পাশে বিভিন্ন অংশ থেকে বালু তুলে পাচার করা হচ্ছে ।
প্রতি নৌকায় ১ হাজার ২ শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫ শ টাকা দিতে হচ্ছে শক্তি শালী সিন্ডিকেট চক্রকে । টাকা না দিলে কোনো নৌকা ওই সব স্পট গুলোতে প্রবেশ করতে দেয়না চক্রের সদস্যরা।
এ বিষয়ে সুতাং বাজারের ছগির মিয়া নামে এক লোক জানান , আমরা কার কাছে গিয়ে বলবো। সুতাং নদী থেকে যে ভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন হয় কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কথা বলার সাহস নেই । কেউ আছে রাজনৈতিক ও অর্থ প্রভাব এবং লাঠির ক্ষমতা । বালু গুলো দিনের চেয়ে রাতে বেশি । যেমন সন্ধার পর থেকে সকাল সাড়ে ৯ টা সময় বালু উত্তোলন হয় বেশি ।
এ ভাবে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পাচার করা হচ্ছে অবৈধ ভাবে বালু ।