১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৩:৫৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে নিহত ৩ জনের দাফন সম্পন্ন

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গাড়ির সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ জনের প্রানহানী ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হওয়ার ঘটনার একদিন পর হাজারো মুসল্লীর উপস্থিতিতে নিহত ৩জনের জানাজার নামাজ শেষে এক সিরিয়ালে তাদেরকে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে গতকাল ৯মে (বৃহস্পতিবার)দুপুরের দিকে টমটম গাড়ির সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য
(মেম্বার) ও পরাজিত ইউপি সদস্য
(মেম্বার)এর লোকজনের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।
পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ সামাল দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং নিহতদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়।

একদিন পর ময়না তদন্ত শেষে আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে মরদেহ গুলো পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় নিজ আগুয়া গ্রামে। তাদের লাশ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পূর্ব থেকেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছোট বড় লোকজন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ হাজার হাজার লোকজনের সমাগম ঘটে।

এ সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বেলা ৫ ঘটিকায়  মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে নিহত ৩ জনের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল,
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন,
সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান,
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি)মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন,
মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক,বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিসহ হাজারো মুসল্লিগন।

জানাজার নামাজ পড়ান মাওলানা শাহ আলম রেজা। পরে নিহতদেরকে আগুয়া কবরস্থানে এক সিরিয়ালে
(পাশাপাশি)করে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, জানাজায় উপস্থিত সংসদ সদস্য ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্যেশো করে বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্তই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তবে এই ঘটনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে কেউই তদবির করতে পারবেন না।

এছাড়াও বানিয়াচংয়ের প্রতিটি ইউনিয়নের দেশীয় অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং বীট পুলিশের উপস্থিতিতে হাত উঁচিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ করান সিলেট থেকে আসা ডিআইজি।

তিনি বলেন, এসব হত্যাকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্হা করা হবে। যা হয়েছে আর যেন এমন কোন ঘটনা পুনর্ব্যক্ত না হয় এমনটা আহবান জানান তিনি।
এলাকায় যেন কোন প্রকার অশান্তি বিরাজ না করে সেই দিকে খেয়াল রাখারও আহ্বান জানানো হয়।