সাঈদ আহমদঃ চলতি বছরের ব্যুারো মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান ক্রয়ে নানা অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে বাহুবল উপজেলায়। এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
সাতকাপন ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া তালিকা বাদ দিয়ে নিজেদের তালিকাই চুড়ান্ত করেন উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদনকারী প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরকার ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সারা দেশের ন্যায় বাহুবল উপজেলায়ও ধান ক্রয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে সেই আলোকে নির্দিষ্ট মনোনিত কৃষক থেকে ধান সংগ্রহ করার কথা।
গত ২১ মে উপজেলা কৃষি অফিস অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় ৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন অফিসেও কৃষক তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, যে তারিখে চিঠি দেয়া হয়েছে সেই তারিখেই উপজেলা কৃষি অফিস তাদের মন গড়াভাবে তালিকা তৈরী করে ইউএনও এর প্রতি স্বাক্ষর নিয়ে অনুমোদন করা হয়।
কিন্তু সাতকাপন ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ভারসাম্যপূর্ণ পাঠানো তালিকার কেউই নেই। এ নিয়ে পরিষদের সকল সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জব্বার বলেন- ‘কৃষি অফিস কর্তৃক তৈরী করা তালিকা মনগড়া এবং দুর্নীতির গন্ধ রয়েছে। এ তালিকা আমরা কোন অবস্থায় মেনে নেয়া হবে না। আমরা প্রয়োজনে আদালতের আশ্রয় নেব। এই অনিয়মের মূল হোতা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাহবুব।’
এমন সহমত পোষণ করেন ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আজিম উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাউর রহমান সহ অনেকেই।
সাতকাপন ইউনিয়নের কৃষি সুপারভাইজার মাহবুবের সাথে মুঠোফোনে কথার বলার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল রিসিপ করেননি।
কৃষি অফিস কর্তৃক ৫২ জনের তালিকা পর্যালোচনায় দেখা গেছে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২/৩টি ওয়ার্ডেরই অধিকাংশ কৃষকের নাম রয়েছে।
তালিকাভূক্ত অনেক কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে অনেকে জানেই না তারা যে সরকারি খাদ্য গোদামে ধান বিক্রি করবে। এতে বুঝা যায়, তালিকার কৃষককে বশে এনে দুর্নীতির সুযোগ নিতে পারে একটি চক্র। আবার ধান ক্রয় কমিটির অন্যতম সদস্য কৃষক সদস্য। কিন্তু এতে কৃষকবিহীন কৃষক সদস্যও নেয়া হয়েছে।