সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহজীবাজার শালটিলা ফরেস্ট ভিট ১ কিলোমিটার উত্তরে পাহাড়ের ভিতরে গুপ্ত স্থানে ত্রিপাল টানিয়ে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এ আসর প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বসছে।
উক্ত আসরে হবিগঞ্জ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পেশাদারী জুয়াড়িরা এসে যোগ দিচ্ছে। যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি কিশোর থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক লোকজন।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের পেশাদার জুয়াড়ি শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুরাসুন্দা গ্রামের সাবেক মেম্বার এংরাজ মিয়া, লাদিয়া গ্রামের জলিল মিয়া ও মাধবপুর থানার বাঘাসুরা ইউ/পি’র কালিকাপুর গ্রামের মোঃ ফারুক মিয়া নেতৃত্বে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার এ জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা মাধবপুর থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ এলাকার কিছু অসাধু প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করে ১ মাস ধরে জুয়ার আসর পরিচালনা করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে হবিগঞ্জ জেলায় জুয়ার আসর জমাতে পারছে না জুয়াড়িরা। ফলে উল্লেখিত জুয়াড়িরা শাহজীবাজার শালটিলা ফরেষ্ট ভিট এলাকা নির্জন স্থান বেচে নিয়েছে।
ফলে শালটিলা ফরেষ্ট ভিট দিয়ে লাল চান্দ চা বাগানের রাস্তা থাকায় এবং এ রাস্তা দিয়ে অর্ধ কিলোমিটার গিয়ে এর উত্তরে অর্ধ কিলোমিটার দূরে পাহাড় উপরে উঠে গুপ্ত স্থানে ত্রিপাল টানিয়ে এ জুয়ার আসর সাথাপন করেছে।
এ রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল না থাকায় জুয়াড়িরা আসর বসিয়ে চুরি, ডাকাতি, অহরহ ঘটনা ঘটাচ্ছে। জুয়ার আসরে ওয়ান্টেড বোর্ডের খেলায় টাকা হারিয়ে কেউ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জুয়াড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও শাহজিবাজার শালটিলা বন বিট এলাকায় কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকার সচেতন মহল এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এ ব্যপারে মাধবপুর থানার তদন্ত ওসি দস্তগীর হবিগঞ্জ নিউজকে বলেন, ”উল্লিখিত বিষটি তাদের জানা নেই।”