করাঙ্গীনিউজ ডেস্ক: ঝড়ো সূচনা এনে দিয়েছিলেন সুনিল নারাইন ও হযরতউল্লাহ জাজাই। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়েছিলেন রনি তালুকদার। তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রানের ফোয়ারা ছোটালেন কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল। তাতে বড় সংগ্রহ পেল ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটানসকে ১৯৩ রানের টার্গেট দিল সাকিব বাহিনী।
টস জিতে ঢাকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনা দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নেমেই ঝড় তোলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নারাইন ও জাজাই। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে আলি খান-শরিফুলদের কচুকাটা করে ছাড়েন তারা। তাতে উল্কার গতিতে ছুটে ঢাকা। তবে হঠাৎ কক্ষচ্যুত হন নারাইন। ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডেভিড উইজের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন তিনি।
পরে ক্রিজে এসে পূর্বসূরীর দেখানো পথ অনুসরণ করেন রনি তালুকদার। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান তিনি। তবে খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি রনি। মাহমুদউল্লাহর বলে আরিফুল হকের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলেন ডানহাতি ব্যাটার।
খানিক বাদেই থামে হযরতউল্লাহ জাজাই টর্নেডো। ব্যাক টু ব্যাক ঝড়ো ফিফটি তোলে ফেরেন তিনি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে খেলেন ৪১ বলে ৪ চারের বিপরীতে ৭ ছক্কায় ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এবার থামেন ৫৭ রানে। পার্টটাইমার পল স্টার্লিংয়ের বলে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগুনে ফর্মে থাকা এ আফগান। সাজঘরের পথ ধরার আগে ৩৬ বলে ৩ চারের বিপরীতে ৫ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি।
জাজাইয়ের দেখানো পথে হাঁটতে পারেননি সাকিব। স্টার্লিংয়ের বলে শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার না পারলেও নারাইন, রনি, জাজাইয়ের দেখানো পথ অনুসরণ করে রানের ফোয়ারা ছোটান পোলার্ড ও রাসেল। তাতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় ঢাকা।
তবে হঠাৎই খেই হারান পোলার্ড। আলির ফুলটস বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি রাসেল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফেরেন তিনি। ডেভিড উইজের বলির পাঁঠা হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ২২ বলে ৩ ছ্ক্কায় ২০ রান করেন এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করতে সক্ষম হয় সাকিবের দল। শুভাগত হোম ১১ ও নুরুল হাসান ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।