১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:১১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে পরীক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

বিল্লাল আহমেদ: অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট( এস,এস,সি) পরীক্ষার ফরম পুরনকালে অতিরিক্ত পাঠদানের নামে অর্থ আদায় করে চলেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, বিধিমালা অনুযায়ী ফরম পুরনের সাথে অতিরিক্ত পাঠদানের নামে প্রতি পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে দেড় হাজার টাকা করে আদায় করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  এবছর মানবিক বিভাগে ২ হাজার ২ শত এবং অন্য বিভাগের ২ হাজার ৩ শত টাকা ফরম পুরনের জন্য বিধান রয়েছে কিন্তু ফরম পুরনের বিধিমালা বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।অতিরিক্ত অর্থ সহ ফরম পুরনের স্বঘোষিত নীতিমালা বলবৎ করায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ। কোন কোন শিক্ষার্থী অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ফরম পুরন করতে পারছেনা।ফলে তাদের আগামী বছরের এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে আরোও জানা যায়, এ বছর বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা, মানবিক, বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৫৬ জন পরীক্ষার্থী।

এ ব্যপারে বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বদিউল আলম কাজল এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,  ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রধান শিক্ষক ফজলুল করীম সহ শিক্ষকবৃন্দ যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের করে থাকে, তবে এ বিষয়ে আপনার কি বক্তব্য আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিধিমালা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, বুধবার (৮ নভেম্বর) মিটিং আছে, এ বিষয়টি উত্থাপন করে আলোচনা করা হবে।

এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক ফজলুল করীম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পাঠদানের জন্য বিজ্ঞান ও ব্যবসা বিভাগের ছাত্রীদের প্রত্যেক এর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ২ হাজার টাকা এবং মানবিক শাখার ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে দেড় হাজার টাকা।

এ ব্যপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে কোন বিভাগে কতজন ছাত্রী পরীক্ষার্থী আছে জানতে চাইলে তিনি জানান খাতাপত্র না দেখে কিছু বলতে পারব না তবে এখনও আরো ছাত্রীর ফরম পুরন বাকি রয়েছে।

এ বিষয়ে কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে কোন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোচিং ক্লাশ করার নামে কোন প্রকার টাকা গ্রাহন করা যাবে না। তবে যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান করে থাকে তা হলে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার জান্নাতুন নাহার এর সাথে আলাপকালে জানান, অতিরিক্ত পাঠদানের নামে অর্থআদায়ের কোন বিধান নেই। এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ দপ্তর তো আমার নয় তবুও যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।