জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে সংঘর্ষের ফলে কমে গেছে এক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়ন এর গুনিপুর গ্রামের দু পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ফরিদ খান হত্যা কান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ফলে গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে।

জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামের ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৭ দিন পর নিহত হন ফরিদ খান (৫০) নামের এক ব্যক্তি। নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত লুটপাট ও ভাঙচুর করে আসছে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি। যার ফলে প্রতিপক্ষের নারী, পুরুষ, শিশু ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ি ছাড়া।যার কারণে স্থানীয় গুণীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর অর্ধেক উপস্থিতি কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রাইমারির গন্ডি থেকেই ঝরে যাবে প্রায় শতাধিক কোমলমুতি ছাত্র-ছাত্রী। যে সময় ছোট ছোট ছেলে,মেয়েরা বই হাতে স্কুলে যাবে। বিকেলে খেলাধুলা করবে। রাতে মা-বাবার পাশে ঘুমাবে। সেখানে এখন এক বিপরীত অসহায় চিত্র। যা দেখার কেউ নেই। দুপক্ষের মারামারি মাশুল দিতে হচ্ছে এখন প্রাইমারি শিক্ষার্থীরা। যাদের ভবিষ্যৎ দিন দিন চলে যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে।

সরজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, স্কুলের প্রতিটি ক্লাসেই উপস্থিতি শিক্ষার্থী অর্ধেক। আর অর্ধেক অনুপস্থিত।

এ ব্যাপারে গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র দাসের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা ২২৩ জন । যার মধ্যে ছাত্র ৯৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১২৫ জন। তাদের শিক্ষক সংখ্যা ৫ জন। ফরিদ খান নিহত হওয়ার পর থেকে আমার স্কুলে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর অনুপস্থিত। যার ফলে আমাদের স্কুলের লেখাপড়া ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা ঘর বাড়ি ছাড়া বেশিরভাগ তাঁরাই অনুপস্থিত। এভাবে চলতে থাকলে প্রাইমারি শেষ করার আগেই ঝরে যাবে অনেক ছাত্র-ছাত্রী।

উপজেলায় অন্যান্য গ্রামের চেয়ে এখানকার শিক্ষার অবস্থা খুব বেশি ভালো না। আমরা এমনিতেই পিছিয়ে।

অনুপস্থিত কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের অভিভাবক জানান, আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে এমন কি আমাদের প্রতিটি ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ফেলেছে গ্রেফতারের ভয়ে আমরা বাড়ি ঘরে যেতে পারি না। আমাদের বাড়িতে না থাকার কারণে মহিলারাও বাড়ি ছাড়া এমনকি সেই পরিবেশও তৈরি করতে পারতেছি না। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবো।

তারা আরোও বলেন, অপরাধের বিচার হবে আইনের মাধ্যমে আদালতে।আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।আমরা আমাদের ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে চাই।

আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ফেলা সহ
আসবাপত্র সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা এখন নি:স্ব। এর বিচার চাই।
বর্তমানে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।