জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, সচেতন অভিভাবকরা জিম্মি

সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েছে । কিশোর অপরাধীরা ” গ্যাং ” বা গ্রুপ সৃষ্টি করে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে । জড়িয়ে পড়ছে ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে সঙ্গে ।

এই কিশোররা সমাজের মধ্যে নিজেদের মতো করে নতুন এক সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে । কিশোর অপরাধীরা আবার বিভিন্ন গ্যাংয়ের মাধ্যমে তথাকথিত ” বড় ভাইদের ” আস্কারা পেয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে । প্রশাসন এ অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পর ও কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধীদের কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না ।

এ সব কিশোর বেশির ভাগ বিভিন্ন গাড়ি চালক, প্রবাসী , ব্যবসায়ী, চাকুরী জীবী , কৃষক , দিন মজুরি , দাদন ব্যবসায়ী , অর্থশালী, জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর বেকার সন্তান ।

সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরে ও ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে গ্রামের পাড়া-মহল্লা রাস্তায় – দোকানে , গাড়ি স্ট্যান্ড , মাজার শরীফ এলাকা, হাট-বাজার ও রেলস্টেশনে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত ।

কিশোর গ্যাংয়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ ও র‍্যাব এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের সচেতন মহল ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , উপজেলার মাজদা শরীফ এলাকা রাস্তা , গাড়ি স্ট্যান্ড , সড়ক রাস্তা , রেললাইন , রেলস্টেশন , রেলস্টেশন হোটেল রেস্তরা , হাটবাজার , বিভিন্ন দোকান পাট , স্কুল আসার পথে রাস্তায় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তায় বা দোকানে বসে কিশোররা আড্ডা দিচ্ছে । কেউ বাড়ির সামনে বা অন্যান্য এলাকার কিশোর দলবদ্ধ ভাবে জোর হয়ে বসে আড্ডা জমায় এবং বিভিন্ন ব্রেন্ডের মোবাইল দিয়ে লুডু খেলার নামে জুয়া আসর বসায় ।

স্কুল – কলেজ ছাএীরা বাসা- বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বিভিন্ন রাস্তা মধ্যে উৎপেতে বসে থাকে কিশোর । সুযোগ বুঝে ছাত্রীদেরকে রাস্তায় মধ্যে ইভটিজিংয়ে শিকার হচ্ছে । এ-সব কিশোররা সকাল থেকে গভীর রাত ১২ টা পর্যন্ত বাজে আড্ডায় লিপ্ত এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত । তাদেরকে দেখলে মনে হয় শিক্ষিত প্রভাব শালী সন্তান । তাদের অভিভাবকরা সন্তানদের প্রতি কোনো নজর রাখে না । কোনো কিশোর মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত আছে বলে অনেকেই ধারণা ।

প্রায়ই সময় স্কুল – কলেজ ছাএীরা আসা যাওয়া সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরর আড়ালে ঘোরাঘুরি করে ইভটিজিং দিচ্ছে কিশোররা । লজ্জায় অনেক ছাত্রী তাদের অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে বলতে রাজি নয় । এমনকি বিভিন্ন সময় অভিভাবকদের ও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে কিশোররা ।

কিশোরদের উৎপাতের ভয়ে অনেক অভিভাবক মান সম্মানের তাগিদে তাদের সন্তান স্কুল থেকে লেখা পড়া থেকে বাদ দিয়েছে । প্রশাসন এ অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পর ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধীদের কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না । হেন অপরাধ নেই , যা তারা করছে না। মাদকের মাঝে মধ্যে ছড়াছড়ি উপাদান গুলো হাতের কাছে পাওয়ায় কিশোর অপরাধীরা আর ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । দ্বিধা করছে না কোনো অপরাধ করতে । ” বড় ভাইদের ” সহযোগিতা পেয়ে তারা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। তবে রাজনৈতিক ছএছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর অপরাধীরা। প্রতিটি কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা , অর্থ প্রভাবশালী , কিছু জনপ্রতিনিধিদের মদদ রয়েছে । ক্ষেএ বিশেষ ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় এ সকল কিশোর অপরাধীরা। কেউ আত্মীয়তা সুবাদে রাজনৈতিক নেতা ,জনপ্রতিনিধি ও প্রভাব শালীদের উচিত হবে না কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া ।

তাদের উচিত প্রতিটি ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিরা শিশু – কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধ থেকে মুক্ত রাখার জন্য কর্মসূচি তৈরি করা । পাশাপাশি সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গকে ও এগিয়ে আসতে হবে । সাধারণ মানুষের অসহায় এ অবস্থা থেকে মুক্তি না মিললে সমাজে বাস করা ও দায় হবে । এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সচেতন মহলবাসী ।