জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানা ভূমিতে ঝুঁকিপূর্ণ ইউপি কার্যক্রম

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কোথায় অবস্থিত হবে, এই নিয়ে মতবিরোধ কারণে ২৪ বছর ধরে নিজ সীমানা এলাকায় প্রতিষ্ঠা হয়নি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি। ফলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি আজও পৌরসভা এলাকার মধ্যে রয়েছে।

সেখানে অবস্থিত তৎকালিন পাকিস্তান সরকার আমল থেকেই পরিচালিত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।

সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন মালিকানা নিজস্ব ভূমিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান করে যুগ যুগ ধরে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমলে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন ও বার বার নির্বাচিত পৌরশহরের ৯নং ওয়ার্ডের বিরামচর গ্রামের সাহেব বাড়ীর প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল আউয়াল।

সেই তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমলে সরকারি ভবন না থাকার কারণে চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল আউয়াল নিজস্ব ভূমিতে ভবন তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তিনি ছিলেন দীর্ঘ বছরের ইউপি চেয়ারম্যান।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের জমি ক্রয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, নিশাপট ও কাজিরগাঁও গ্রামের কিছু প্রভাবশালীরা উদ্দেশ্য ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি ফরিদপুর এলাকায় হোক।

ইউপি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় এবং বর্তমানে “ক” শ্রেণি পৌরসভা। এসময় সদর শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আয়তন ও গ্রামের সংখ্যা কমে যায়।

বর্তমানে ইউনিয়নের গ্রামের সংখ্যা ১৪ টি এবং আয়তন ৩ হাজার ৬৫০ দশমিক ৯৭ একর। এখন পর্যন্ত শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি নিজ সীমানায় স্থানান্তর হয়নি।

ফলে পৌর সভা ভিতরে মালিকানা জায়গায় পুরাতন ইউপি ভবনে আসতে হচ্ছে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম হতে নারী-পুরুষ।