সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুরঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ করাত কলের (স’মিল) ছাড়াছড়ি। এসব করাত কলে সংরক্ষিত বন বিভাগের গাছও চিড়ানো (কাটা) হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাঝে মধ্যে হবিগঞ্জ বন বিভাগ ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালানা করলে ও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার পর সপ্তাহ খানেক এসব করাত কল বন্ধ থাকলেও অদৃশ্য শক্তির বলে তা আবার চালু হয়ে যায়।
সূত্র মারফত জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের উলুহর গ্রামের মৃত হাজী সামছুদ্দিন আহম্মদের পুত্র মোঃ মহিউদ্দিন একই এলাকায় মৃত মোঃ মহিউদ্দিনের পুত্র মোঃ রকিব মিয়া, নুরপুর ইউনিয়নে নোয়াগাঁও গ্রামের হাজী সুরুজ আলী পুত্র মোঃ আব্দুল কাদির একই ইউনিয়নে চানপুর গ্রামের মৃত মঞ্জব উল্লা পুত্র মোঃ নবীর হোসেন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পুরান বাজার এলাকায় মৃত হাজী মোঃ আঃ খালেক চৌধুরী পুত্র সিরাজুল হক চৌধুরী, মহলুল সুনাম গ্রামের হাসেম আলী পুত্র মোঃ আব্দুল আলী সেন্টু, শায়েস্তাগঞ্জ ইউ/পি’র কলিমনগর গ্রামের মৃত মামদ হোসেনের পুত্র মোঃ আঃ ছামেদ এসব অবৈধ করাত কলের (স’মিল) মালিক।
কারো লাইসেন্স না থাকার জন্যে, কারো নামে ভ্রাম্যমান আদালতে মামলা চলছে, আবার কেউ করাত কলের লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ রয়েছে।
সরজমীনে উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণডোরা, সুতাং বাজার, সাবাসপুর, দেউন্দি সড়ক চৌমুহনা, জগতপুর, এলাকায় অবৈধ করাত কলের ছড়াছড়ি।
এসব করাত কল অবৈধ ভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অবৈধ ভাবে কাটা হচ্ছে বন বিভাগের গাছ। এতে সরকার হারাচ্ছে লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব।
এ ব্যাপারে (নাম প্রকাশ করার শর্তে) বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব হচ্ছে। তারা পড়ছেন বিপাকে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বরে মনের করছেন তিনি।”