শরিফ চৌধুরীঃ হবিগঞ্জ জেলা এই মুহুর্তে দেশের হটস্পটগুলোর তালিকায়, প্রতিদিন আক্রান্ত বেড়েই চলেছে, আর এই মুহুর্তে ইফতারি বিক্রির অনুমতি দেয়াটা কতোটুকু যৌক্তিক হলো? এতে তো কমিউনিটি ট্রান্সমিশনটা আরো বেড়ে যাবে৷
উন্নত-অনুন্নত সব দেশই যখন তাদের লকডাউন আরো বাড়াচ্ছে, আর আমরা সারা জেলা তো দুরের কথা নিজ পাড়া-মহল্লার লকডাউনটাও মানছিনা৷
এই দেশের মানুষ কয়জনে লিখিত আইন মানে? ডান্ডা ছাড়া তো কাজ হয়না৷ মানুষ ঘরে রান্না করে যদি ভাত খেতে পারে তাহলে ইফতার কি করতে পারেনা? আর এই দেশের ব্যবসায়ীদের তো রমজান এলেই মাথায় শুধু ব্যবসা আর ব্যবসা। কিভাবে যে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লাভা করা!
সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে খবর নিয়ে দেখুন। রমজানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেনা। তারা এই পবিত্র মাসের ফজিলত ও আল্লাহর রহমত কামায়৷
আর হোটেল, রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ী ভাইদের বলবো, এই জীবন মরণের মহামারিতেও কি একমাস ব্যবসা না করলে হয়না? সারা জীবনই তো ব্যবসা করে কামালেন। কোথায় গেলো সারা জীবন বা সারা বছর হোটেলের ব্যবসায় কামাই করা টাকা-পয়সা?
আগে নিজে বাঁচুন, ব্যবসা করতে গিয়ে যদি নিজে করোনায় আক্রান্ত হোন, তাহলে আপনার ও আপনার পরিবারের অবস্থাটা তখন কি হবে? ব্যবসার জন্য তো ভাই সারাজীবনই রয়ে গেছে৷ মহামারীটা চলে গেলে তো ভাই আপনাকে কেউ দোকানদারী করতে বাঁধা দিবেনা৷ আমিও তখন ইফতারি কিনতে আপনার হোটেল বা রেস্তোরাঁয় যাবো৷
এখন তো আমার মতো সচেতন মানুষ যাবেনা। দলে দলে অসচেতন লোকজন একের পর এক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আপনাদের সাজিয়ে রাখা হোটেল-রেস্তোরায় ভীর করবে৷ এটাই এ দেশের মানুষের কালচার!
তাই বলছি, করোনা কিন্তু কাউকেই চিনেনা। ব্যবসায়ী-টেবসায়ী অথবা কাস্টমার-টাস্টমার কাউকেই ছাড় দিবেনা ভাই৷ সময় থাকতেই সচেতন হোন, সাবধান হোন৷ নিজে বাঁচুন আর অপরকেও বাচতে দিন৷
লেখক- সাংবাদিক।