হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় আজ থেকে পুনরায় টমটম/ইজিবাইক ভাড়া ৫ টাকা বহাল :
১লা সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিঃ হতে হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় টমটম/ইজিবাইকের ভাড়া পূর্বের ন্যায় ০৫ টাকা করার নিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান মিজান নিশ্চিত করেছেন।
টমটম ভাড়া পূর্বের ন্যায় বহাল রাখার জন্য এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হত গতকাল। সেখানে বক্তব্যের এক অংশে মেয়র জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় চলাচলরত টমটম/ইজিবাইকের ভাড়া ১০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করা হবে । তবে সেখানে টমটম চালকরাও পূর্বের ন্যায় সমান সংখ্যক যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যন্য আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে বিশিষ্ট মুরুব্বি শাহাব উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মুক্তাদির আমীর, মো. সরওয়ার হোসেন, উত্তরণ সংসদরে সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক আবু সালেহ চৌধুর মো. নুরুজ্জামান শওকত, আহসানুল হক সুজা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশে চলমান করোনা দূর্যোগের কারণে প্রায় সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও রিকশা ও টমটম/ইজিবাইক চলাচল অব্যাহত থাকে। প্রশাসন টমটম মালিক সমিতির সাথে পরামর্শ করে ১ জুন থেকে টমটমের ভাড়া ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করে। তবে বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেক টমটমে ৪ জন করে যাত্রী নিতে পারবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। প্রত্যেক টমটমে নেয়া হয় ৬/৭ জন করে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোষ্ট থাকলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পাশাপাশি স্প্রে ও মাস্ক ব্যবহার না করা সহ নানান অভিযোগ উঠে টমটম/ইজিবাইক চালকদের বিরুদ্ধে। অনেক চালক মুখে মাস্ক ব্যবহার না করেই টমটম চালান।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয় পৌরবাসীর মধ্যে। অনেকেই দাবি তুলেন হয়তো স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হোক অথবা পূর্বের ন্যায় ভাড়া ৫ টাকা করার। ছোট এ শহরে টমটম ইজিবাইকের ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনার মধ্যে একদিকে কর্মহীন, অন্যদিকে উর্ধ্বমুখি দ্রব্যমূলে দিশেহারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। এর মধ্যে ১০ টাকা টমটম ভাড়া যেন ‘মরার উপর খড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়ায় পৌরবাসীর মধ্যে। বাসা থেকে বের হলেই ২০ টাকা ভাড়া গুণতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ অবস্থায় সম্প্রতি শহরের সর্বমহলে জোড়ালোভাবে দাবি উঠে টমটম ভাড়া পূর্বের ন্যায় ৫ টাকার করার জন্য।
এদিকে গতকাল রাতে হবিগঞ্জ পৌর টমটম মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে টমটম ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এতে সমাজের অনেক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ নিন্দা জানিয়েছেন। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, ” পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যেখানে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত সেখানে মালিক সমিতি কিভাবে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করেন?? ” এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি স্থানের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কিছু কিছু স্থানের ভাড়া নির্ধারণ না করার ব্যপারেও অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।