মোঃ কাওছার মিয়াঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউড়া গ্রামের এক অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল খালেক (৫০) কে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার সকাল ১১ টায় উল্লেখিত স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সূত্রে জানা যায় মৃত রঙ্গু মিয়ার পুত্র আঃ গনি, আঃ মালেক, আঃ মন্নান ও অনু মিয়ার মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পাশাপাশি ওই দিন অভিযুক্ত আঃ গণি আহত আব্দুল খালেকের কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চায়। ওই টাকা না দেয়ায় শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা আব্দুল খালেকের উপর দেশীয় অস্ত্র রাম দা, ফিকল ও লোহার রড দিয়ে আতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় দুবৃত্তদের রাম দায়ের কোপে আব্দুল খালেকের বাম হাতের তিনটি আঙ্গুলের রক কেটে যায়। আহতের তার স্ত্রী তাহেরা খাতুন বাচাতে গেলে গলায় থাকা একটি ২ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং দোকানে থাকা আরোও ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় উল্লেখিত অভিযুক্তরা।
একপর্যায়ে আব্দুল খালেকের শোরচিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপালে পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত সূত্রে আরোও জানা যায়, আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ আব্দুল খালেক ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। আব্দুল খালেক সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ায় চাকুরীর সুবাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল এবং গ্রামের বাড়িতে সকল সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিল তার সহোদর ভাইয়েরা। পরবর্তীতে আব্দুল খালেক সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পরে বাড়িতে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
এব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আহত আব্দুল খালেককে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।