১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:৪৪

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

১১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ৪ বছর পর গ্রেফতার

হবিগঞ্জ সদর পুলিশের অভিযানে ১১টি মামলাসহ মোট ১২টি মামলার ১১বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামীকে ৪বছর পর শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,২৭অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)গোলাম মর্তুজার নির্দেশে এসআই ইয়াকুব হোসেনের নেতৃত্বে এএসআই শিবলু মজুমদার,এএসআই সোহেল দেবসহ একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার উদ্যেশে সকাল বেলা থানা থেকে রওয়ানা হন।

এবং সেখানে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শ্রীমঙ্গল র‍্যাব ৯এর সহযোগীতা নিয়ে সবুজবাগ এলাকায় সকাল সাড়ে এগারোটায় অভিযান চালিয়ে এই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলো হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং নিজামপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের মৃত আঃমন্নান মিয়ার পুত্র আব্দুল কদ্দুস মিয়া(৪৮)।

গ্রেফতারকৃত আব্দুল কদ্দুস মিয়া সম্পর্কে আরও জানা যায়,তিনি এক সময় হবিগঞ্জ এডিএম কোর্টের সাবেক পেশকার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।

এসময় থেকেই তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম অপরাধ ও জাল জালিয়াতির কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন।

এসবের কারনে তার বিরুদ্ধে সর্বমোট ১২টি মামলা হয়।

এবং ১১টি মামলায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে ১১বছর সাজা প্রদান করেন বিঞ্জ আদালত।

এসব মামলায় সাজা প্রদানের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় আব্দুল কদ্দুস।

এমনকি আশ্রয় নেয় শ্রীমঙ্গলে এবং সেখানেই দিনাতিপাত করতে থাকে ৪বছর ধরে।

তার এমন অবস্থানের বিষয়ে খবর আসে হবিগঞ্জ সদর থানায়।

তাৎক্ষণিক সদর থানার ওসির নির্দেশে অভিযান চালিয়ে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল কদ্দুসকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থেকে বিকাল ৪টার দিকে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।

এবং আগামীকাল ২৮ অক্টোবর শুক্রবার   আদালতের মাধ্যমে আব্দুল কদ্দুসকে কারাগারে প্রেরন করার কথা রয়েছে।

এব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)গোলাম মর্তুজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,হবিগঞ্জ জেলা সদর থানা পুলিশ দিনরাত জনগনের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপরাধীরা অপরাধ করে যেখানেই আত্মগোপন করে রয়েছেন বা আছেন আমরা ঠিকই তাদেরকে বের করে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

এব্যাপারে তিনি মিডিয়া কর্মীসহ সচেতন নাগরিকবৃন্দের সহযোগীতাও কামনা করেন।