হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হরতির জঙ্গল থেকে ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি(বুধবার) সকালে শতাধিক পাখি শিকার করে আসার পথে দুই বন্দুকসহ জনতার হাতে আটক হলেন দুই শিকারী।
পরে বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করা হলে,থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাখি,বন্দুক সহকারে দুই শিকারীকে থানায় নিয়ে আসেন বলে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০০শত টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু তাদের কাছ থেকে বন্দুক পান নাই বলে জানালেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট-!
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত লক্ষী বাউর হড়তির জংলায় পাখি শিকার করে আসার পথে স্থানীয় জনতার হাতে পাখি শিকারের ব্যবহারকৃত দুটি বন্দুক সহ আটক হয় উপজেলার ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শরীফ খানী মহল্লার মোঃ আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে মো মিজানুর রহমান(৩৩)।
২নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিনাট গ্রামের মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে, মোঃ তওহিদ মিয়া(৪৮)কে সৈদ্দ্যারঠুলা ছান্দের স্থানীয় জনতা আটক করে সাথে সাথে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে হাতে নাতে পাখি ও বন্দুক সহ দুজনকে আটক করেন।
পাখি শিকারী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পাখি শিকারী করে বাড়িতে আসার পথে লক্ষী বাউর হতে বের হয়ে রেষ্ট হাউজের সামনে আসা মাত্রই টমটম নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এক্সিডেন্ট হয়ে তিনজন গুরুতর আহত হন।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ দিলোয়ার হোসেন এর নির্দেশে এসআই সামছুল আরেফির এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে তাদের আটক করেন।
প্রত্যাক্ষ, সুলাটেকা মহল্লার সর্দার মাইদ্দের ভিটের ব্যবসায়ী মোঃ আবু হাসান মিয়া(৬৪) বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টায় কান্নার শব্দ শোনে আমার দোকান থেকে বের হয়ে দেখি ৫ জন মানুষ, অনুমান করছি টমটম এক্সিডেন্ট করে ৩জন পা ভেঙ্গে গেছে এবং তারা পাখি শিকার করে বাড়ি ফিরার পাথে টমটম এক্সিডেন্ট করছে।
তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বাকি দুজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। পরে সকাল ৮টায় পুলিশ আসে।