জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

অবকাঠামো সংকটে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের

আজিজুর রহমান আজিজ: 

“শিক্ষার জন্য এসো- সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও” এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে গড়ে ওঠা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় আজ চরম অবকাঠামোগত সংকটে ভুগছে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ আধাপাকা টিনের ঘরে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে।

ভাঙ্গাচোরা শ্রেণিকক্ষ, নেই যথাযথ ওয়াশরুম, কমনরুম, বিজ্ঞান ল্যাব বা লাইব্রেরি—বিচ্ছিন্ন ভবন আর জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে চলছে শিক্ষার কাজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক স্যার বলেন, “উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত দরজায় দরজায় ঘুরেছি, তবুও সাড়া পাইনি। সরকারের সুদৃষ্টি ও সহায়তা ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।”

বিদ্যালয়টি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭৭৬ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন ও আরও ৩ জন নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “মেঘ দেখলেই ক্লাস ছেড়ে দৌড়াতে হয়, জানি না কখন টিনের চালা ভেঙে পড়ে।”

প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এই বিদ্যালয় থেকে অনেকেই বর্তমানে সরকারে উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন—কিন্তু বিদ্যালয়ের এমন বেহাল চিত্র সত্যিই লজ্জার। একাধিক ভবন ভেঙে নতুন ভবনের জন্য জমি প্রস্তুত থাকলেও পাইলিং করেই কাজ থেমে গেছে

বর্তমানে জেলা প্রশাসনের ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য ইকবাল মেম্বার জানান, “তিনটি ভবন ভেঙে ফেলার পর থেকেই সংকট আরও বেড়েছে। একটি নতুন ভবন নির্মাণ হলে পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে।”

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, “বিদ্যালয়ের সুনাম ও ফলাফল ভালো, দক্ষ শিক্ষকও আছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হবে ইনশাআল্লাহ।”

এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের দাবি—একটি ভবনের অভাবে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকারে না হারিয়ে যায়। সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ভবন নির্মাণই এখন সময়ের দাবি।