বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করণ এবং স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দুরগড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সুতরাং তৃণমুল পর্যায়ে কাজের ব্যথ্যয় কোনভাবে মেনে নেওয়া হবেনা। আন্তরিকতা এবং দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে ২৫০ শর্য্যা আধুনিক সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে মিটিং এ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আমিনুর রশিদ সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী, সদর সার্কেল মাহফুজা আক্তার শিমুল, ওসি মাসুক আলী, সেইভ দা চিলড্রেন এর ম্যনেজার ডিস্ট্রিক ইমপ্লিমেন্টেশন রওশন আরা প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, সদর হাসপাতালের ইর্মাজেন্সীর সামনে আগামী ১মাসের মধ্যে আলাদা আলাদা ২টি টয়লেট নির্মাণ করার জন্য বলেন, যাতে করে আগত রোগীরা কোন ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে। এছাড়া জেলায় সকল ডাক্তারদের নিয়ে একটা মিটিং করা হবে, যাতে করে ভুয়া ডাক্তার চিহ্নিত করা যায়।
তাছাড়া জরুরী ভিত্তিতে যাদি কোন ফান্ড লাগে তাহলে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
এসময় সময় সদর সার্কেল মাহফুজ আক্তার শিমুল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, হাসপাতাল থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট পেতে দেরী হওয়ার কারণে অনেক সময় আমরা মামলার তদন্ত রিপোর্ট সঠিক সময়ে তৈরী করে আদালতে জমা দিতে পারিনা। তাই এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদেরকে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয় হয় তাহলে আমাদের কাছে মামলার জট থাকবেনা।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরী করে জমা দিতে হবে। নতুবা অনেক সময় নিরীহ মানুষও হয়রাণীর শিকার হতে পারে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে, অনেক সময় সদর হাসপাতালে দালালদের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করি, কিন্তু অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়। তাই হাসপাতালের বাহিরে যদি একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়, তাহলে আমরা সহজে চিহ্নিত করে দালালদেরকে আটক করতে পারব।