হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ২ সদস্যকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে আটক করা হয় এবং পাইপগান, রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উল্লেখিত সময় উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কালারচক গ্রামের কলা বাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম-এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুক আলী, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদসহ পুলিশের ২টি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের একাধিক ডাকাত পালিয়ে গেলে বি-বাড়িয়া উপজেলার ভাদুঘর গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র হানিফ মিয়া (৪৫) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের মৃত আরব আলী পুত্র সাইদুল মিয়া (৩০)কে হাতে নাতে আটক করা হয়। এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ১টি পাইপগান, ২টি কার্তুজ ও অন্যান্য ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ৫টি রামদা, ২টি রড, ৫ টি কালো কাপড়ের মুখোশ, ৭টি রশি ও ২টি টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গতকাল দুপুরে আটককৃত ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অসুস্থ আল্লামা তোফাজ্জল হককে দেখতে গেলেন পুলিশ সুপার
এ ঘটানায় গতকাল রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আটককৃত ২ ডাকাত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। আটককৃত ডাকাত হানিফ হবিগঞ্জ সদরের কুদরত ডাকাতের সেকেন্ড-ইন কমান্ড হিসেবে ডাকাতদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল।
তার বিরুদ্ধে বি-বাড়িয়া, নরসিংদী, আখাউড়ার অস্ত্র ও ডাকাতির ১১টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া ৯ ডাকাতের নাম বেরিয়ে এসেছে এবং তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দেয়া হয়েছে।