হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ভবনটি বেহাল দশা । যে কোনো সময় ছাদের পলেস্তার ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে ।
শতবর্ষের আগে নির্মিত হলেও বর্তমানে দীর্ঘ বছর ধরে জরাজীর্ণ পুলিশ ফাঁড়ির ভবনটি জীবনের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ১১ জন পুলিশ সদস্য । তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আমলে উপজেলার চরনূর আহাম্মদ মৌজায় নির্মিত ফাঁড়ির এ ভবনটি সংস্কারে রেলমন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ না থাকায় যতদিন যাচ্ছে এর অবশ্য দিন দিন আরো ঝুঁকি পূর্ণ হচ্ছে ।
সংশ্লিষ্টদের আশংকা , যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে প্রাণহানি । জানা যায় , বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে ১১ পুলিশ সদস্য কর্মরত । এই ১১ জন পুলিশ সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুব কষ্টে কাজ কর্ম করছে ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে । সকল পুলিশ সদস্যদের থাকার সু-ব্যবস্থা না থাকায় তারা পরিত্যক্ত ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে বিশ্রামাগারে রাত্রি যাপন করেন । নেই কোনো তাদের টয়লেট । পুলিশ ফাঁড়িতে বা স্টেশনে কোনো টিউবওয়েল না থাকায় সকল পুলিশ সদস্যরা খাবার পানি চাহিদা পূরণ করার জন্য আশপাশের বস্তি এলাকা থেকে । গোসল করতে হয় পার্শবর্তী রেলের বড় দিঘির মধ্যে ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের পেছনে অনেক নোংরা পরিবেশ এবং মশার উপদ্রুপ । বর্ষা কালে বৃষ্টি হলে কোমর পানি জমে থাকে এবং চলাচল করা যায় না এবং দুর্গন্ধে পুলিশ সদস্যরা ফাঁড়িতে কাজ কর্ম করতে পারে না । রেলের জায়গায় দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ সব দুর্গন্ধে পাশাপাশি মশা- মাছি উপদ্রুব বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিভিন্ন রোগ জীবাণু জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং এসব দুষিত মশা কামড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব । যা ওই সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে পড়ছে । ২০০৫ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন আধুনিকায়ন রি-মডেলিং স্টেশন এর কাজ হলেও অজ্ঞাত কারণে এই পুলিশ ফাঁড়ির সংস্কার বা পূর্ণ নির্মান হয় নি ।
এ ব্যাপারে নবাগত শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন , পুলিশ ফাঁড়িতে এসে দেখি , এই ফাঁড়িতে দায়িত্ব আসার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ কর্ম করছি । আমরা রেলের ও যাএীদের নিরাপত্তা নিয়োজিত আছি । অথচ আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই । তিনি আরো বলেন , এই রেল পুলিশ ফাঁড়িতে আমরা ১১ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছি ।
এখানে বিশ্রামগার বা থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সকল পুলিশ সদস্যদের পরিবার সদস্য নিয়ে আসার সম্ভব নয় এবং বসবাস করার কোনো ব্যবস্থা নাই । ভালো কোনো টয়লেট না থাকায় রেলওয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে ।
ওযু- গোসল ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবস্থা না থাকায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে বস্তি এলাকায় থেকে টিউবওয়েল হতে পানি আনতে হয় । জব্দ কৃত মালামাল বা বিভিন্ন অপরাধী আসামী রাখার ভালো ব্যবস্থা নেই কিন্তু ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে খুব কষ্টে রয়েছি ।
নতুন পুলিশ ফাঁড়ি ভরনের জন্য রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জায়গা নির্ধারণ করা হলেও এখনো রেল পুলিশ ফাঁড়ির ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ আসে নি ।
এ ব্যাপারে মাননীয় রেল মন্ত্রী ও রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এই পুলিশ ফাঁড়ি ভবন নির্মাণ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত শায়েস্তাগঞ্জসহ হবিগঞ্জ জেলা বাসী দাবি ।