বানিয়াচংয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরী করার ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগে এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশল সুত্রে জানা যায়, আইআরআইডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় বানিয়াচং ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর চক বাজার পয়েন্ট হতে গড়ের ঢালা সড়কের ১৩৪০মিটার কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পায় বি-বাড়িয়ার মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ১শ ৬৬ টাকা।
হবিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান গত ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এই রাস্তার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কাগজে কলমে হাসান এন্টারপ্রাইজের নাম থাকলেও মুলত কাজ করছেন বানিয়াচংয়ের উজ্জ্বল মিয়া নামে আরেক ঠিকাদার।
সাব ঠিকাদার হিসেবে তিনি এই রাস্তার কাজ করাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৫ মাস পর অবশেষে গত ১ সপ্তাহ পূর্বে ওই ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও শুরুতেই রাস্তার মধ্যে নিম্নমানের ইটের ছুঁড়কি ফেলে কাজ শুরু করেন।
পাশাপাশি রাস্তার উভয়পাশে দুই নাম্বারি ইট দিয়ে এজিংয়ের কাজও কিছু কিছু জায়গায় করে ফেলে ঠিকাদার। এরই মধ্যে রাস্তার অধিকাংশ স্থানে মাটি ভরাট করানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী মিলে এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ না করতে নিষেধ করেন শ্রমিকদের।
এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ঠিকাদারের লোকজন।
এলাকাবাসী মাসুদ মিয়া (মেম্বার), হুসমত আলী ও আলাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করার খবর পাওয়ার পর আমরা এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করি। পরে কাজ বন্ধ করে নির্মাণ শ্রমিকরা চলে যায়।
এই ব্যাপারে সাব ঠিকাদার উজ্জ্বল মিয়া জানান, রাস্তার মধ্যে কিছু গর্ত থাকার ফলে এসব জায়গায় নরম ইটের খোয়া দেয়া হয়েছে।
ভালো ইটের খোয়া উপরে দেয়া হবে। রাস্তার পাশের এজিং আটকানের জন্য এসব দেয়া হচ্ছে। তবে কাজতো চলমান ই আছে বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আল-নূর তারেক জানিয়েছেন-এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেটা আমি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।