৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১:০৫

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে রাস্তা না থাকায় ভাঙ্গা অংশে ব্রীজ নির্মান করে চলাচল করছে ২০ টি পরিবার

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউারা ইউনিয়নের বাড়া চান্দুরা গ্রামে রাস্তা না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ২০ টি পরিবার। বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মান করে চলাচল করছে লোকজন।

সামান্য বৃষ্টি হলেই নিচু রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায়। কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মান করে চলাচল করতে হয় তাদের।

প্রায় সময় বাঁশের ব্রীজ ভেঙ্গে পনিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। অনেক শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে স্কুল – কলেজে যেতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিগত দিনে চেয়ারম্যান , মেম্বররা রাস্তা করে দিবে আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর আর তারা এলাকায় আসেনি।

ভুক্তভোগী কালা মিয়া নামে একজন জানান, যত প্রার্থী পাশ করছে, যারা দাড়াইছে সবার কাছে আমরা গেছি। ১৫/১৬ বছর যাবত আমরা কষ্ট করতেছি। আমাদের আশা দিছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

আল আমিন নামে একজন জানান, রাস্তা গুলো হইতেছে না। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ব্রীজ দিয়ে আমরা আইতেছি। ব্রীজ ভেঙ্গে ছেলে মেয়েরা বই, খাতা নিয়ে পইড়া যা গা। বই ভিজ্জা যায়গা। স্কুলে যেতে পারে না। প্রাইভেটে যেতে পারে না।

আবু সাইদ নামে একজন এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় মেম্বারের দ্বারে গেলে কইছে কইরা দিব । এখন পর্যন্ত কইরা দিছে না। তখন আমরা নিজেরা ব্রীজ কইরা আসা যাওয়া করতেছি।

জানু মিয়া নামে একজন এলাকাবাসী জানান, ২০/২৫ টা পরিবার থাকে। ২ থেকে আড়াইশ মানুষ ধান, চাউল নিয়ে যাইতে পারে না রাস্তাটার কারনে। রাতে বিকালে চলতে পারে না।

সাজিদা খাতুন নামে একজন মহিলা জানান, আমরা কোন চলাফেরা করতে পারি না। জবর কষ্ট হয়। লাশ নিয়ে যাবার কোন রাস্তা নাই। আমাদের বেশী রকম কষ্ট হয়। একটা রোগী যদি পরে বাড়িতে নিয়ে যাবার পথ নাই।

আব্দুল মান্নান নামে একজন জানান, এইদিক দিয়া রাস্তা দিয়ে আসা যায় না। ধানের ভাড় নিয়ে আসা যায় না। পড়ে আচাড় খেতে হয়।

আন্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামেদ হেলাল জানান, আমি দুই বছর হল উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছি। অনেক সমস্যা আমার ইউনিয়নে। অনেক রাস্তাঘাটের অনেক প্রবলেম। আমি চেষ্টা করতেছি আন্তরিক ভাবে আমার ইউনিয়নবাসীর দূর্ভোগ কমানোর জন্য।

আমাদেরও সীমাবন্ধতা আছে তারপরও আমার উধ্বর্তন যারা আছেন আমাদের মন্ত্রী মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাদের সহযোগীতায় আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আশা করি পর্যায়ক্রমে এই রাস্তার কাজেও আমরা হাত দিতে পারব।