জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

‎মিরপুরে প্রতিবাদ সভায় বক্তাদের হুশিয়ারী; ‎হত্যা মামলার আসামি পক্ষের মামলা‎ প্রত্যাহার না হলে মহাসড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জের বাহুবলে টমটম চালক হত্যা মামলার আসামির স্ত্রী কর্তৃক পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ফুসে উঠছেন এলাকাবাসী। আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ফারুক মিয়ার স্ত্রী সুজিনা আক্তারের মামলা প্রত্যাহার ও টমটম চালক কাশেম আলীর খুনীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির  দাবিতে বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় মিরপুরে প্রতিবাদ সভা ও মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মিরপুরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যেখানে নিরীহ টমটম চালক কাশেম আলী হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করার কথা, সেখানে আমাদেরকে হত্যা মামলার আসামি পক্ষের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এটা শান্তিকামী মানুষের আশা ছিল না। বক্তারা বলেন, হত্যা মামলার আসামি ডাকাত ফারুকের স্ত্রী কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা

‎ না হলে মহাসড়ক অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

‎৫ গ্রামের মুরুব্বি মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী তোষার, সহ সভাপতি এনামুল হক এনাম, সাধারণ সম্পাদক হাজী শামছুল আলম, ব্যকস সভাপতি মোতাব্বির হোসেন, শাহিন মিয়া,  ইমাম শরিফ চৌধুরী জুয়েল, ফুল মিয়া মেম্বার, আব্দুল আজিজ সিদ্দিকী,

‎উপজেলা সিএনজি সমিতির সম্পাদক জিতু মিয়া, ছাত্রদলের উপজেলা সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরী সুমন, ইউনুস আলী, সায়েম আহমেদ চয়ন প্রমুখ।

‎উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ উপজেলার ভাটকাটিয়া মন্দির সংলগ্ন রাস্তার উপর থেকে টমটম চালক স্থানীয় লামাতাসি গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে কাশেম আলীর হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।

‎এ ঘটনায় বাহুবল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ কয়েক আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ধৃত আসামিরা হত্যাকান্ডের সাথে ডাকাত ফারুকের জড়িত বিষয়ে তথ্য দেয়। এরপর ২২ জুলাই সন্ধ্যায় সুঘর গ্রামের ডাকাত ফারুককে স্থানীয় জনতা পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে ফারুকও জেল হাজতে রয়েছে। এর জের ধরে ফারুকের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লামাতাশি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল নুর ও মালেক মিয়াকে আসামি করে অপহরণ ও মারপিটের মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।