হবিগঞ্জের লাখাই সড়কের কালাউক বাজার থেকে ভাদিকারা যাওয়ার রাস্তার মুখে পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গা দখল করে নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাদিকারা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী সমরাজ বেগম সরকারি জমিতে নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণ করছেন।
এছাড়াও আশপাশের কয়েকটি জায়গায় দখল করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ দখলদারিত্বের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। বরং প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলা হলেও অদৃশ্য কারণে তা দেখেও না দেখার ভান করছে কর্তৃপক্ষ।
হবিগঞ্জ লাখাই সড়কের বেকি টেকা ব্রিজ থেকে বামৈ তিনপুল পর্যন্ত রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের বহু জায়গা প্রভাবশালী মহল ও ভূমিখেকোদের দখলে। বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সময় এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও পরবর্তীতে পুনরায় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাদিকারা যাওয়ার রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলোর কারণে রিকশা, অটোরিকশা, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। পাশাপাশি খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় বর্ষাকালে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যাহত হয় এবং উজানের দিকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
সমরাজ বেগম এ বিষয়ে জানান, “আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান এখানে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চা বিক্রির কিছু সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। আমি আমার স্বামী-সংসার নিয়ে কোনোভাবে ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার দাস বলেন, “আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করব। সরকারি জায়গা দখল করে যদি স্থাপনা গড়ে তোলা হয়ে থাকে, তবে তা উচ্ছেদ করা হবে।”