জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু: ৬ দফা দাবিতে অচল পরিবহন ব্যবস্থা!

সিলেটে শুরু হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে পরিবহন সেক্টরে বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ ঘোষণায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে কয়েকদিন ধরেই ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে আসছিলেন পরিবহন নেতারা।

তবে এ কর্মসূচিকে ঘিরে সিলেটের পরিবহন অঙ্গনে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব। একাধিক পরিবহন নেতার ভিন্নমতের কারণে যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। ধর্মঘটের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট কদমতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাস না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। সড়কে যাত্রীর সংখ্যাও ছিল তুলনামূলকভাবে কম।

ধর্মঘটের প্রধান ৬ দফা দাবি:

১. বাস-মিনিবাসের জন্য ২০ বছর, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-সিএনজি-লেগুনার জন্য ১৫ বছরের ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ বাতিল।
২. সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু-পাথর উত্তোলন চালু রাখা।
৩. বিআরটিএ ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল এবং গণপরিবহনে আরোপিত বাড়তি ট্যাক্স প্রত্যাহার।
৪. ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, ভাঙচুরকৃত মিল ও মিটার ফেরত এবং ক্ষতিপূরণ দাবি।
৫. গাড়ি থেকে জব্দ করা বালু-পাথরের ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৬. সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদের প্রত্যাহার এবং পণ্যবাহী গাড়িচালকদের হয়রানি বন্ধ।

দাবি আদায়ে শ্রমিক নেতারা অনড় অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়নি।

পরিবহন ধর্মঘট কতদিন চলবে তা নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এর বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।