সিলেট বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায় ভয়াবহ চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫২৬টি মেডিকেল অফিসারের পদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই শূন্য। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সবচেয়ে সংকটাপন্ন জেলা মৌলভীবাজার, যেখানে ১০৩টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত চিকিৎসক আছেন মাত্র ২২ জন। অন্য তিন জেলায়ও ঘাটতির চিত্র একই।
জেলা | অনুমোদিত পদ | কর্মরত | শূন্য |
---|---|---|---|
সিলেট | ১৭১ | ১০২ | ৬৯ |
সুনামগঞ্জ | ১৩৩ | ৫৭ | ৭৬ |
হবিগঞ্জ | ১১৯ | ৪৪ | ৭৫ |
মৌলভীবাজার | ১০৩ | ২২ | ৮১ |
এছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট পদেও সংকট বিদ্যমান। বিভাগজুড়ে ২৪১টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ১৩১টি পদ ফাঁকা।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রামীণ জনপদের মানুষ বাধ্য হয়ে ছুটছে জেলা সদর কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এতে তাদের আর্থিক ও শারীরিক দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬টি পদের বিপরীতে একজন মাত্র চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। অপর একজন চিকিৎসক কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে তিনি কর্মরত সিলেট ওসমানী মেডিকেলে।
ধর্মপাশা উপজেলার ভুক্তভোগী এক রোগী জানান, বুকের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ওসমানীতে পাঠিয়ে দেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় চিকিৎসক আন্তরিক হলে এড়িয়ে যাওয়া যেত ভোগান্তি।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের বক্তব্য:
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, “চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি বাস্তব। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বর্তমানে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষা চলছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলে সংকট কিছুটা কমবে।”