৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ২:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

স্থানটির নাম বাগারিয়া

স্থানটির নাম বাগারিয়া। হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. দূরে মাদনা রোডে ভবানীপুর ও মাদনা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে উক্ত পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১০০ বিঘা।

এই স্থানটির বিশেষত্ব হচ্ছে মাঝারি আকারের হিজল গাছ, উচুঁ নিচু টিলা, কাশফুল, বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ, পশ্চিম দিকে হিন্দু ধর্মাম্বলীদের শশ্বান পূর্ব দিকে মন্দির। দক্ষিণ পাশ ঘেঁসে হবিগঞ্জ শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য পাকাঁ রাস্তা। পশ্চিমে ছোট একটি খাল। বর্ষার সময় দুই দিকের পানি স্থানটির সৌন্দর্য কে আকর্ষিত করে। শহর থেকে ও পার্শবর্তী এলাকা থেকে মানুষ ঘুরতে আসে হেমন্তে গাড়ি ও বর্ষায় নৌকা যুগে।

কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত স্থান থেকে মানুষে মাটি কেটে নিয়ে যায়। বর্ষার সময় গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যায় হাওড়ের বিলে কাটা দেওয়ার জন্য। এতে সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয় তেমনি অনেক গাছ মারাও যায়। এখানে নেই কোনো বসার স্থান চেয়ার বা ছাউনি। নেই কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। স্থানীয় ভাবে এটা কেউ দেখাশোনা করে না। ক্ষয়ক্ষতির দিকে কেউ খেয়াল রাখে না।

স্থানটির নাম বাগারিয়া

লাখাই উপজেলায় দেখার মতো সৌন্দর্যমন্ডিত কোনো স্থান নেই। হবিগঞ্জ জেলায় বা জেলা শহরে দেখার মতো স্থান থাকলেও বিনোদনের জন্য কোনো পার্ক নেই। স্থানীয় লোকজনের আশা প্রত্যাশা যে, যদি উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন এই স্থানটির দিকে নজর দেয় এবং সরকারি উদ্যোগে স্থানটির পরিচর্যা করে তাহলে স্থানটির সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি গড়ে উঠবে লাখাই উপজেলার তথা হবিগঞ্জ জেলার একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক কিংবা শুটিং স্পট।

কতিপয় কিছু স্থানীয় লোকজনের সাতে কথা বলে জানাযায়, তাদের আশা প্রত্যাশা যে এই প্রতিবেদন যদি প্রশাসনের নজরে আসে, যদি স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাহলে পর্যটকদের সেবা প্রধান করার জন্য অনেক দোখান-পাট ও হোটেল- রেস্টুরেন্ট গড়ে উটবে। এতে অনেক স্থানীয় বেকারদের কর্ম সংস্থান হবে।

ঘুরতে আসা পর্যটক রিয়াদ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ফেসবুকে স্থানীয় কিছু লোকের স্ট্যাটাসে এই স্থানটির সৌন্দর্য ও ঠিকানা জানার পর তিনি ঘুরতে আসেন এবং তার খুব ভাল লাগে জায়গাটি।

মিয়া মোঃ আঃ রকিব নামের আরেক জন বলেন, এই জায়গার নিরিবিলি পরিবেশ ও দক্ষিণা বাতাসে তিনি মুগ্ধ তার মন শীতল হয়ে গেছে।

আরো কয়েকজন জানান তারা সুযোগ পেলে নিয়মিত এখানে ঘুরতে আসবেন এবং জেলা প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেন তাহলে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ও শুটিং স্পট হিসেবে গড়ে ওঠবে।

স্থানীয় লোকজনের আশা প্রত্যাশা যে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসবে এবং প্রশাসনিক ভাবে এটি হবিগঞ্জ জেলার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হবে।