১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৭:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

৮ মাসেও হস্তান্তর হয়নি মুক্তিযোদ্ধা ভবন

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী কর্তৃক বিগত ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাহুবল উপজেলার নব নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যদিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

দীর্ঘ সময় নির্মাণ চালিয়ে গত বছরের জুন মাসেই ভবনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু গত ৮ মাস অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজ এখনো সমাপ্তই হয়নি। এখন পর্যন্ত ভবনের ভেতর ও বাহিরে অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। বাউন্ডারী, গেট, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, আস্তর, রং ইত্যাদি কাজ অসম্পর্ণ রেখেই গত ৩ মাস যাবত কাজ বন্ধ রয়েছে। কবে ভবন হস্তান্তর হবে তাও অনিশ্চিত।

ফলে বাহুবলের মুক্তিযোদ্ধাগণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারও কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী ভবনের কাজ বন্ধ করে রেখেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার নূর মিয়া জানান- ২০১৮ সালের জুন মাসেই ভবন হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর গাফিলতিই দায়ী। কি কারণে কাজ বন্ধ করা হয়েছে প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলেও আমাদেরক্ েঅবগত করেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাহুবল মুক্তিযোদ্ধা ভবন প্রায় শেষের দিকে। অতিরিক্ত কিছু কাজ পূর্বের সিডিউলে না থাকায় আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলেই কাজ সমাপ্ত হবে। এদিকে গত বৃহ:বার সন্ধার পর প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার অফিসেরই হিসাব রক্ষক মাহবুবুল হককে একটি টেন্ডারের কিছু কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে জেরধরে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। পরে অফিসের কয়েক স্টাফ ও উপস্থিত স্থানীয় কয়েক লোকের সহায়তায় বড় ধরণের অঘটন থেকে রক্ষা পান।

এ ব্যাপারে হিসাব রক্ষক মাহবুবুল হক বলেন- আমার সাথে অন্যায়ভাবেই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, স্টাফ ও স্থানীয় সেবাপ্রার্থী লোকজন সূত্রে জানা যায়, প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী ঠিক সময়ে অফিসে না আসা, মাতাল অবস্থায় বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন, স্টাফ ও অন্যান্য মানুষের সাথে অরুচিশীল আচরণ, জরুরী প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে না পাওয়া, প্রায়ই অফিসে বেলা ১/২ টারদিকে হাজিরা প্রভৃতি অভিযোগ বিস্তর রয়েছে।