১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৩:২৯

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বাংলাদেশ একমাত্র আদিবাসী মুসলিম (মণিপুরি মুসলিম)

 

রফিকুল ইসলাম জসিমঃ মুসলমান জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ও স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর একমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী পাঙাল বা মণিপুরি মুসলিমরা বর্তমানে সিলেটে মৌলভীবাজারে প্রায় ২০০ বছর ধরে বসবাস করছে। মণিপুরি বা পাঙালদের নিজস্ব ভাষায় কথা বললেও এরা সবাই ইসলাম ধর্মের সুন্নী মতাবলম্বী।

সামাজিক অনুষ্ঠানে নারীদের কাজ
সামাজিক অনুষ্ঠানে নারীদের কাজ।

সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে দক্ষিণাংশে পাঁচটি ইউনিয়নের ৩০ গ্রামে প্রায় ১১ হাজার জনসংখ্যা বসবাস করে। উল্লেখ্য, সপ্তদশ দশকের প্রথম দিকে (১৬০৬ খ্রি.) সিলেটের হবিগঞ্জের তরফ অঞ্চলের পাঠান শাসক খাজা ওসমানের সৈনাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সানীর নেতৃত্বে ইসলাম ধর্মের অনুসারী একদল সৈন্য ভারতে মণিপুর রাজ্যে অভিযান চালায়।

মণিপুরি তাঁত কন্যা
মণিপুরি তাঁত কন্যা।

তখনকার মণিপুরের রাজা খাগেম্বার সাথে এক সন্ধির ফলে এই বাহিনী মণিপুরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। পরে মণিপুরের স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। মণিপুরের সেই মুসলমান জনগোষ্ঠীকে পাঙাল বা মণিপুরি মুসলিম নামে পরিচিত লাভ করেন।

নারীদের বিয়ের পোশাক
নারীদের বিয়ের পোশাক।

পরবর্তীতে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মণিপুর রাজ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, রাজ -ভ্রাতৃকলহ ও বহিঃশক্তির আক্রমণ ইত্যাদির কারণে রাজ্যকাঠামো কালক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে উনবিংশ (১৮১৯-১৮২৫) প্রথম দিকে বার্মার সৈন্যরা মণিপুর রাজ্য,আক্রমণ করলে সেখানকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মণিপুরি জাতিসত্তার মানুষ প্রাণভয়ে মণিপুর রাজ্য ত্যাগ করে বিক্ষিপ্তভাবে পাশ্ববর্তী রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, বার্মা এবং এই বাংলাদেশের সিলেটে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।