১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৬:৩৪

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

জনতার ভালবাসায় সিক্ত হলেন নৌকার কান্ডারী আতাউর রহমান সেলিম

ফেরদৌস আহমেদঃ এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। হাজার হাজার নেতাকর্মী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়। হাতে ফুল আর ফুলের মালা। শত শত মোটর সাইকেল আর গাড়ীবহর নিয়ে অপেক্ষা। জনগনের মাঝে কৌতুহল উপলক্ষটা কি? হবিগঞ্জ শহরতলীর বিসিক শিল্পনগরীতে গতকাল বিকেলের দৃশ্য ছিল এটি।

বিকেল ৩টা থেকে নেতাকর্মীদের অপেক্ষার অবসান হয় সন্ধ্যার সাথে সাথে। সেখানে আলোকবর্তিকা হিসাবে দ্যুতি ছড়ান এমন এক ব্যাক্তি যিনি বার বার আসেন নতুন নতুন উপলক্ষ নিয়ে। কখনও দলের আদর্শকে সমুজ্জল করতে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে। আবার কখনও দলের প্রাপ্তি নেতাকর্মীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে।

জনতার ভালবাসায় সিক্ত হলেন নৌকার কান্ডারী আতাউর রহমান সেলিম

গতকালের আগমনও ছিল একটি প্রাপ্তির উপলক্ষ নিয়ে। সেই প্রাপ্তি হল বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীক। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া এই নৌকা পাওয়ার পর গতকাল যখন তিনি ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ ফিরছিলেন তখন নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করতে জড়ো হন সেখানে।

পরে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বিরাট বহর নিয়ে প্রবেশ করেন হবিগঞ্জ শহরে। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রাজপথ কাপানো সেই জননেতা হলেন আতাউর রহমান সেলিম।

বহরটি যখন সন্ধ্যার পর শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তখন নৌকা নৌকা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারিদিক। বহর নিয়ে আতাউর রহমান সেলিম প্রথমেই চলে যান আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে। সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি নেতাকর্মী এবং উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

জনতার ভালবাসায় সিক্ত হলেন নৌকার কান্ডারী আতাউর রহমান সেলিম
কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি না থাকার পরও জনগন এবং নেতাকর্মীদের এই ভালবাসায় আবেগে আপ্লুত হয়ে আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ৩৬ বছর যাবৎ আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। অনেক জেল জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছি। তবে কখনও আমি নীতি, দল এবং নৌকার সাথে বেঈমানী করিনি। দলের প্রতি আমার এই ত্যাগ এবং জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন আমার নৌকা প্রাপ্তি।

২০১৫ সালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন। পরে উপ-নির্বাচনে নৌকা না পেয়েও আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মন মানসিকতা থাকায় আবার আমাকে নৌকা উপহার দেয়া হয়েছে।

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ হবিগঞ্জ পৌরবাসী শরীক ছিল। আমি নির্বাচিত হলে  অবসান ঘটিয়ে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে চাই।

তিনি আগামী নির্বাচনে সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার জন্য কাজ করার আহবান জানান এবং সাধারন জনগনের ভোট ও ভালবাসা প্রার্থনা করেন।