জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

সিলেটের সাদা পাথর লুটকারীরা এখন সিআইডির নজরধারীতে

সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথর, যেখানে সম্প্রতি সংঘটিত পাথর লুটের ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় সিলেট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সিআইডির (ঢাকা) বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় তদন্ত শুরু করেছে। পরিবেশগত অপরাধ সংঘটনপূর্বক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে যারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে, এর মধ্যে ১১ লাখ ঘনফুট প্রতিস্থাপনও করা হয়েছে। প্রতিদিন অন্তত ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা ও ৩০০ ট্রাকের সমন্বয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিস্থাপন কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৩০ শতাংশ পাথর এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি, কারণ অনেক পাথর ভেঙে ফেলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। ২৭ আগস্ট থেকে যার কাছে লুট হওয়া পাথর পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরিবেশবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিস্থাপনের কাজ প্রকৃতির কাছাকাছি রূপে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।