১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৩:৫২

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে পুষ্টির ঘাটতি নিয়ে উদ্ধেগ!

জুয়েল রহমান:  হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার“ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, খাবার খাবো পুষ্টি গুণে” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জাতীয়ভাবে পরিচালিত পুষ্টির সমন্বয় সূচকে পুরো সিলেট বিভাগ পিছিয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় সভায় উপস্থিত জনরা বিষয়টি নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (১৫মে) দুপুর ১২ টায় উপজেলা সভাকক্ষে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামিমা আক্তার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা কো-অর্ডিনেটর (ইউনিসেফ)আবু দাউদ মোল্লা।
এসময় প্রজেক্ট অফিসার (ইউএসআইডি’এস/সিএনএইচএ) ফাহমিদা আক্তার লিপি চলমান প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির কার্যক্রমকে শক্তিশালীকরণে কি ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে তার উপর একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা সকলের সামনে তুলে ধরেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক, সমাজসেবা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রধান, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর (এফআইবিডিপি) লিপি আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুব্রত রায়, চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল হক,আহাদ মিয়া, হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, মিজানুর রহমান খান, মোঃ আনোয়ার হোসেন,আরফান উদ্দিন, ডাঃ ইলিয়াস একাডেমির প্রধান শিক্ষক হেমায়েত আলী খান, চৌধুরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা আক্তার, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হোসেন,ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, মাসুদ কোরাইশী মক্কী, হাফেজ শামরুল ইসলাম, জয়কুমার দাস, শেখ মিজান, নাসিরুদ্দিন চৌধুরী,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফিল্ড লেভেল স্টাফ রীমা রানী রায়, মোঃ মখলিছুর রহমান, উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ
সভায় একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করা হয় যেখানে দেখানো হয়,সারাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগের শিশুরা সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির শিকার।

উচ্চতা অনুযায়ী ওজন, বয়স অনুপাতে উচ্চতা এবং বয়স অনুপাতে ওজন কম তাদের।
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সারাদেশে ক্ষীণকায় ৮ শতাংশ শিশু। আর সিলেট বিভাগে ১০ শতাংশ শিশু ক্ষীণকায়। সিলেটে খর্বাকৃতির শিশুর হারও উদ্বেগজনক।

সারাদেশে ৩১ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির হলেও সিলেটে খর্বাকৃতির শিশু ৪৩ শতাংশ। সিলেটের শিশুদের ওজনও তুলনামূলক অনেক কম। সারাদেশে কম ওজনের শিশু ২২ শতাংশ। কিন্তু সিলেটে ৩৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।