জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে গ্রামীণ জনপদে অবৈধভাবে বালু পাচার, এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকারি নিয়ম-নীতির কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার ভালো পাচার করে আসছে। এতে করে একদিকে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে বাড়ি যানবাহনে বালু পাচারের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ফলে এ রাস্তায় চলাচল কারী হাপানিয়া, সুলতানপুর ,রসুলপুরের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারে। অবৈধভাবে বালু পাচারের এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামে।

ধর্মঘর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড হাপানিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ ফিরোজ মিয়া জানান, “উত্তর সোয়াবই গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিন প্রায় তিন মাস যাবত হাপানিয়া-হরষপুর কাঁচা রাস্তার দক্ষিণ পাশে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে। ভারি যানবাহন ও ট্রাক্টরে করে এই কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে পাচার এর ফলে রাস্তাটি ভেঙ্গে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।”

“অনেক লেখালেখির পর সরকারিভাবে ওই রাস্তার অর্ধেকাংশ ইটের সলিং সহ দুটি কালবার্ট পূন নির্মাণ করা হয়। কালভার্টের উপর ঢালাই দেওয়া তিন চার দিন পর হতেই পুনরায় এ রাস্তা ও কালভার্টের উপর দিয়ে বালু পাচার শুরু করায় যে কোন সময় কালভার্টের ছাদ ধ্বসে পড়তে পারে আশঙ্কায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। যেকোনো সময় এ উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নিতে পারে।”

এলাকার বিশিষ্ট সরদার রসুলপুর গ্রামের মোকসেদ আলী সাবেক মেম্বার ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই ধরনের বক্তব্য প্রদান করেন।

রবিবার দুপুরে হাপানিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি থেকে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এবং ট্রাক্টরে বালুলোড করছে। ট্রাক্টরে করে বালু পাচারের ফলে উক্ত রাস্তার বিপুল ক্ষতি হয়েছে এবং একটি কালভার্টের অর্ধেকাংশ ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় জনগন প্রশাসনের নিকট গ্রামীন এ জনপথটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, আমি সংশ্লিষ্ট তঃসিলদার কে পাঠিয়েছি সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।