জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জে বেশির ভাগ পল্লী চিকিৎসকের নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজারে শতাধিক পল্লী চিকিৎসক রয়েছে। এদের অধিকাংশরই নেই প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদপত্র। এ ছাড়া কারো নেই ওষুধ বিক্রির ড্রাগ লাইসেন্স।

অনেকে প্রথমে ছোটখাটো ওষুধের দোকান দিয়ে শুরু করে, পরে পল্লী চিকিৎসক হয়েছেন।

জানা গেছে, একজন পল্লী চিকিৎসকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি থাকলেও ছোট থেকে বড় সব ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন তারা। শিশুসহ বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষের বিভিন্ন সমস্যার জন্য কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তারা ওষুধ দেন।

নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করতে হরহামেশায় দিয়ে থাকেন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। যাতে করে রোগীর সাময়িক উপশম হলেও বিপদের দিকে ধাবিত হয়।

সচেতন মহল জানান, এসব গ্রাম্য চিকিৎসকের ওপর নেই কোনো প্রশাসনিক নজরদারি। পল্লী চিকিৎসক গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। অনেক সময় রাতের বেলা পল্লী চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজারে ছোটখাটো ওষুধের দোকান প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করেন। এই সুযোগে সাধারণ মানুষের উপকার চেয়ে ক্ষতি করছে অনেকে।

কারণ প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়েই করে চলেছেন চিকিৎসা। পল্লী চিকিৎসকদের সঠিক পরিসংখ্যান করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আহবান জানান সচেতন মহল।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সহকারী সার্জন ডাঃ বিশ্বজিৎ রায় জানান, পল্লী চিকিৎসকের এসএম, এএফপি, ডিএনএ, প্যারামেডিকেল বা আরএমপি করা থাকতে হবে। যাদের পল্লী চিকিৎসকের কোনো কোর্স করা নেই তাদের এ পেশায় না থাকাই উচিত।

ডাঃ বিশ্বজিৎ রায় আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেকেই পল্লী চিকিৎসকের কোর্স না করেই চিকিৎসা দিয়ে বা ওষুধ বিক্রি করেন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাই।