জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতার পাল্টাপাল্টি মামলা–অভিযোগে চাঞ্চল্য

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও স্থানীয় এক বিএনপি নেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা ও অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর উপজেলা চৌমুহনী ইউনিয়নের বড়ুরা রাবার ড্যাম এলাকায় সরকার মালিকানাধীন সিলিকা বালু চুরির অভিযোগে ইউনিয়নের বিএনপি নেতা সোহেল মিয়াকে ২ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান
মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত হওয়ার পর সোহেল মিয়া  আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।

জামিনে মুক্ত হয়ে এবার সোহেল মিয়া উল্টো ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর দায়িত্ব অবহেলা, ঘুষ দাবি ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

তিনি দাবি করেন,
নদী থেকে বালি তুলে নিজের জায়গা ভরাট করতে গেলে ভূমি কর্মকর্তা তার কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও নিয়মিত কমিশন নেন। ঘুষ না দেওয়ায় তাকে বালু চুরির মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন—
“আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে গেলেই আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দেওয়া হয়।”
তিনি সোহেল মিয়াকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, পুলিশের চার্জশিটেই সব সত্যতা প্রমাণিত হবে। সোহেল মিয়া বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ইকরাম জানান—
“আইন সবার জন্য সমান। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় করলে দল তার দায় নেবে না। অভিযোগ এলে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে মাধবপুরের এসিল্যান্ড মজিবুল ইসলাম বলেন—
“প্রশাসনের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সেটি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”