জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আওয়ামী ক্ষমতার আশীর্বাদে নিবন্ধন সনদ ছাড়াই প্রধান শিক্ষক!

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জয়ধন সরকার। কিন্তু চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো— তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০২১ সালে, অর্থাৎ নিয়োগের চার বছর পর!

সরেজমিনে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে একটি অবৈধ নিয়োগ বোর্ড গঠন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আতিকুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জয়ধন সরকারকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ ছাড়া কোনো শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন বা নিয়োগ পেতে পারেন না।

তদন্তে আরও জানা গেছে, সেই নিয়োগ পরীক্ষায় কোরাম পূরণের জন্য কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তিকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বসানো হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কারও কাছেই বিএড সনদ ছিল না— যা প্রধান শিক্ষক পদের জন্য বাধ্যতামূলক। অভিযোগ রয়েছে, জয়ধন সরকার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বোর্ড সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে বৃহৎ অংকের ঘুষ প্রদান করে এ নিয়োগ লাভ করেন।

এ বিষয়ে এতদিন কেউ প্রকাশ্যে কথা না বললেও, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জনাব মনসুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের পর বিষয়টি জনসমক্ষে আসে এবং স্থানীয় শিক্ষাঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

সচেতন মহল মনে করছেন, “এটি শুধু একটি নিয়োগ জালিয়াতি নয়, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো একটি ঘটনা।” তারা দ্রুত তদন্ত করে অবৈধ নিয়োগে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক জয়ধন সরকার বলেন“আমার নিয়োগ সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে হয়েছে। আমার নিবন্ধন পরে হলেও সেটি নিয়োগের বৈধতায় প্রভাব ফেলে না। সব কাগজপত্র শিক্ষা অফিসে জমা রয়েছে,” — বলেন জয়ধন সরকার।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন,খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে