১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১২:০৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আকাশে গর্জন হলেই উধাও বিদ্যুৎ, দূর্ভোগে মানুষ

জুয়েল চৌধুরীঃ আকাশে গর্জন হলেই উধাও হয়ে যায় বিদ্যুৎ। আর অসহায় হয়ে পড়েন মানুষ। নেই কোন প্রতিকার আছে শুধু অজুহাত। বিদ্যুৎ খেলছে খেলা আর অসহায় হয়ে পড়েন মানুষ। থমকে যায় জনজীবন।

এভাবেই গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা বিদ্যুতবিহীন দিন কাটান হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ও এর আশপাশের মানুষ।

আকাশে হঠাৎ গর্জন, মেঘ কিংবা সামান্য বৃষ্টি বা বাতাস হতে না হতেই হবিগঞ্জ শহর ও সদরের বিদ্যুত উধাও হয়ে যায়। ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর আবার দেখা মিললেও ফের আকাশে একটু গর্জন হলেই সাথে সাথেই আবারো বিদ্যুত উধাও।

এভাবেই দিনভর বিদ্যুত লুকোচুরি খেলা খেলে হবিগঞ্জ শহরবাসীর সাথে। একবার বিদ্যুত গেলে কখন আসবে তা বলাও মুশকিল। ফলে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমার কর্তৃপক্ষ কাজ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। দিনের বেলায়ও মম বাতি জালিয়ে কাজ করছেন অনেকে।

ব্যবসায়ীরা বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে পড়েন বিপাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে স্বীকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। এ ভাবে লোডশেডিং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

অপর দিকে, ইলেক্সটনিক্স ও ইলেক্সটিক ব্যাবসায়ীরা পড়েন বিপাকে। অফিসিয়ালি ও অনান্যা কাজে দুর দুরান্ত থেকে আসা মানুষ ঠিক মত ফটোকপি, কম্পিউটার, কম্পোজ, বৈদ্যুতিক নির্ভরশীল কাজ কর্ম করতে পারেননি। এ ছাড়া বাসাবাড়ির ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্রে সমস্যাতো হচ্ছেই। অল্পের জন্য অনেকের ফ্রিজে থাকা খাবারও নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

এব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, শহরের বিভিন্ন এলাকার ফিডার বিকল হয়ে যাওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে। তবে লোকজন কাজ করছে। আশা করি সামনের দিনে এমনটা আর হবে না।

এদিকে সাধারণ জনগণ বলছেন, বিদ্যুত অফিসের এমন বাণী শুনানো হচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু কোনো সমাধানই হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি কিংবা বাতাস এলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুত চলে যায়। এ ছাড়া বিদ্যুত অফিসের টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে কল করলে ব্যস্ত পাওয়া যায়। ফলে বিদ্যুত কখন আসবে তাও জানা সম্ভব হয় না।

এদিকে গতকাল রাত শনিবার রাত ১০টায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত এলেও বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুতবিহীনই থেকে যায় বলে জানা গেছে।