৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:০৯

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আজমিরীগঞ্জের বদলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী

ফরহাদ চৌধুরীঃ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের ভবানিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায়দিনই তালাবদ্ধ থাকে। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে হাওড়বাসীকে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারকে সব সময় না পাওয়া ও থাকলেও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে কমিউনিটি ক্লিনিক তালা ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের প্রোভাইডার সবুজ কান্তি দাশের মোবাইলে সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে কল দিলে তিনি বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে রাস্তায় আছেন বলে জানান।

চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক মহিলার সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, ‘সর্দিজ্বরের ওষুধের লাগি কয়েক দিন গেছি, ওষুধ নাই বলে বিদায় করে দেয়। এই ধরনের হাসপাতাল খুল্লেই কিতা না খুল্লেই কিতা’।

শুধু ভবানিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকেই না উপজেলার কয়েকটি ক্লিনিকের এমন চিত্র। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো ক্লিনিকে আসা-যাওয়া করে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ওষুধই দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৬টি। ১৫টি ক্লিনিকের ভবনে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিযুক্ত আছেন। তবে এ উপজেলায় ১৩টি ভবন থাকলেও দুটি ভবনের কাজ চলছে ও একটি ভবন না থাকায় অস্থায়ীভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়িতে কার্যক্রম চলছে।

উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের সুভাষ দাস নামে একজন জানান, “মাঝেমধ্যে ক্লিনিকে যাই কিন্তু কর্মরত যে আছে তাকে পাই না।”

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক দেব রাজ চৌধুরী কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের প্রোভাইডার সবুজ কান্তি দাশের বরাত দিয়ে জানান, “সোমবার একটি ডেলিভারি হয়েছিল, বাচ্চাটি মারা যায়। তাই সেখানে গিয়েছিল রোগীর খোঁজখবর নিতে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে বলেও জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন জানান, “ঢাকা থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য যে ওষুধ বরাদ্দ আছে সেটাই তাদেরকে দেওয়া হয়। এখান থেকে কমবেশি করার সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।”