দিলোয়ার হোসাইনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে একই পরিবারের ৩ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছেন। এরা সম্পর্কে পিতা-পুত্র ও পুত্রের ঘরের নাতি।
উপজেলা সদরের ২ নম্বর ইউনিয়নের ৩ নাম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আজগর আলী খা (৬৩) ছেলে আংগুর খা (৪৪) ও নাতি কামাল খা (১০) একই পরিবারের ৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিবারটি মানেবতরভাবে জীবন যাপন করছে।
এলাকাবাসী জানান, আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো ১০ বছর পূর্ণ হলেই পরিবারের ছেলেদের চোখে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। চোখে ঝাপসা দেখা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া সহ চোখের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ আজগর আলী খা বলেন, তিনি নিজে জন্মগত অন্ধ নন। তার ছেলে ও ছেলের ঘরের নাতি জন্মগত ভাবে কেউই অন্ধ নন।
এক সময় আর সবার মত সব কিছু চোখে দেখতেন। হঠাৎ করেই তিনি অন্ধ হয়ে যান। পরবর্তীতে ছেলে আংগুর মিয়া ও ১০ বছর পর থেকে অন্ধ হয়ে গেছেন।
তিনি নিজে চোখের চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। ছেলের চোখে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরও দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন। কোন লাভ হয় নাই।
বর্তমানে ছেলের ঘরের নাতি ১০ বছরের কামাল খা’র চোখে সমস্যা দেখা দেওয়ায় চোখের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ১ হাজার পাওয়ারের চশমা দিয়েছে। প্রতি ছয়মাস পর পর চশমা পরিবর্তন করতে হয়। এতে ও কামাল খা চোখে ঝাপসা দেখে।
ক্লাস থ্রী’তে পড়ুয়া কামাল খা’র চোখের সমস্যা দূর করতে হলে চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে চট্রগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বর্তমানে পরিবারটি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা করানোটা দুঃসাধ্য।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ আঙ্গুর মিয়া খা জানান, পরিবারের ৭ জন সদস্য বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্য ৩ জনই অন্ধ।
এ অবস্থায় চিকিৎসা দূরে থাক তিনবেলা খেয়ে পরে বেচে থাকাই তাদের কাছে দুঃসাধ্য ঠেকছে। বর্তমানে পরিবারটি মানেবেতর জীবন যাপন করছেন।