সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এর প্রভাবে গত দুইদিন ধরেই হবিগঞ্জে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
এতে ভুগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুুষ। সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততায় মারাত্বক বেঘাত ঘটেছে।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়- শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়ে আঘাত করে।এদিকে, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জেও থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। যার পরিমাণ শনিবার বিকেলের দিকে বেড়ে যায়। ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল না যাওয়া পর্যন্ত এ বৃষ্টি অব্যহত থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আতঙ্ক হবিগঞ্জে না থাকলেও বৃষ্টির কারণে ভুগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি। এছাড়া বৃষ্টির কারণে অন্যদিনের তুলনায় শীতের প্রভাবও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রাস্তায় গণপরিবহণের তীব্র সংঙ্কট দেখা দেয়। তবে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীদের ভুগান্তির শিকার হতে হয়নি।
আরও পড়ুন:
কিছুটা দুর্বল হয়েছে বুলবুল, অতিক্রম করছে খুলনা উপকূল