হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার তহবিল ব্যয় নিয়ে অনিয়ম ও বিলাসিতার অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধি না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একইসঙ্গে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।তবে এ নিয়ে মাধবপুরের পৌর প্রশাসক ও ইউএনও জাহিদ বিন কাসেম ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার রায় তথ্য অধিকার আইনের আওতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগসহ তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন।

আবেদনে বলা হয়—অফিসার্স ক্লাবে পৌরসভার টিআর খাত থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মেরামতে পৌর তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে, ইউএনও যে মসজিদে নামাজ পড়েন সেখানে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং পৌর অফিসে এসি লাগাতে খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায় গেট নির্মাণ,ও মাটি ভরাট প্রকল্পেও অনিয়ম হয়েছে।
পৌর বাসিন্দা আলম আহমেদ জানান,প্রকৃত অর্থে পৌরসভায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে না। চারদিকে ময়লা ও দুর্গন্ধ।আমরা পৌরসভার পরিবর্তন দেখতে চাই।
অথচ পৌরসভার ৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর গ্র্যাচুইটির বকেয়া প্রায় ৩ কোটি টাকা। এতে তারা আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।কিন্তু এরই মধ্যে পৌরসভার বিলাসী প্রকল্প গ্রহণ করে পৌরবাসীদের মনে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও জাহিদ বিন কাসেম বলেন, গেট নির্মাণে পৌরবাসী উপকৃত হবেন। অফিসার্স ক্লাবে বরাদ্দ তার এখতিয়ারভুক্ত। মসজিদ ও শিক্ষা অফিসে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে যথাযথভাবে।এসব ক্ষেত্রে তিনি কোন অনিয়ম দেখেন না বলে জানান।
মাধবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক এম এ কাদির বলেন, “পৌরসভার অর্থ ব্যয় হওয়া উচিত পৌরবাসীর কল্যাণে। অথচ ইউএনও একইসঙ্গে পৌর প্রশাসক হয়ে নিজের সংগঠন অফিসার্স ক্লাবকে পৌর তহবিল থেকে অর্থ দিয়েছেন। এটি জনগণের টাকার বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়।”
তবে হবিগঞ্জ দুদকের উপ-পরিচালক এরশাদ আলী বলেন, “এক দপ্তরের টাকা অন্য দপ্তরে ব্যয় সম্পূর্ণ বেআইনি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।”