আজমিরীগঞ্জের জলসুখায় গতকাল অনুষ্টিত স্থগিত কেন্দ্রের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ খেলু ২য় বারের মত চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
গত ১১ নভেম্বর আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছিল। উক্ত নির্বাচনে জলসুখা বাদে বাকি ৪ ইউনিয়নে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করা হয়। জলসুখা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ সহ ব্যালট পেপারে অগ্নি সংযোগের মত ঘটনা ঘটে। এতে করে ওই কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করে দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিসার।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) স্থগিত কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্টানের ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার। এরই ধারাবাহিকতায়, সকাল ৮টা থেকে উৎসব মুখোর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৯৫ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৪৯৩ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫০২ জন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এড, রোখসানা আক্তার শিখা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফয়েজ আহমেদ খেলু (আনারস) এবং স্বতন্ত্র এম এইচ জামির মোটর (সাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
২ নং জলসুখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (আটপাড়া দক্ষিণ) কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোসাদ্দেকুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ খেলু ১৩ ভোট বেশী পেয়ে ২য় বারের মত নং জলসুখা ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফয়েজ আহমেদ খেলু আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট। তার নিকটজন প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এড রোকসানা আক্তার শিখা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪০৬ ভোট। উক্ত কেন্দ্রে কাস্ট হওয়া ভোট সংখ্যা ৮৪৯ টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ৮৪১ ও অবৈধ ভোট ৮ টি।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর জলসুখা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলেন ৮ জন প্রার্থী। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহনও হয়। তবে বিপত্তি বাধে ভোট গণনার সময়। সন্ধায় জলসুখা ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ মিয়া ও আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী রোখসানা আক্তার শিখার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কেন্দ্রটিতে কাষ্ট হওয়া ৭৪৪ ভোটের সবগুলো ভোটই আগুনে পুড়ে চাই হয়ে যায়। ফলে কেন্দ্রটির ফলাফল স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।