হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় মসজিদ ও পুকুরের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক এক ইউপি সদস্য চান মিয়াসহ নারী-পুরুষ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হেঙ্গুমিয়া পাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে মহল্লাবাসীর মসজিদ ও পুকুরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ শালিসে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন মহল্লাবাসীর পক্ষে রায় দেন এবং বিষয়টি মীমাংসার ঘোষণা করেন।
তবে সোমবার সকালে প্রতিপক্ষ হাসই মিয়া, জিতু মিয়া, এলাছ মিয়া ও মখলিছ মিয়া গং বাঁশ দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক মিশুক চালক প্রতিবাদ করলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে ওয়ার্ড মেম্বার বুলু মিয়াসহ স্থানীয়রা থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এসময় বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য মকসুদ মিয়া ফেসবুক লাইভে এসে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের অনেককে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়নি এবং কাউকেও আটক করা হয়নি।