আকিকুর রহমান রুমনঃ বানিয়াচংয়ে ছান্দ প্রথার কোপানলে পড়েছেন যুবলীগ নেতা অলফুজুর রহমান খান। বিদ্যালয়ের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে ছান্দ মহল্লার নেতৃবৃন্দরা তাকে বহিষ্কার করেছেন৷
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী অলফুজুর রহমান খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে বহিষ্কার ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে ২১ ফেব্রুয়ারী একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।
বহিষ্কার ঘটনাটি ঘটেছে ২০ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১১টায় বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের সৈদরটুলা গ্রামে।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার তোপখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ চলমান আছে।
বিদ্যালয়ের জমির পাশেই অভিযোগকারী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি অলফুজ খানের পারিবারিক জমি রয়েছে। বিল্ডিং নির্মাণকরাকালে অলফুজুরের জমিতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একাংশের কলাম স্থাপন করায় তিনি ঠিকাদারকে কাজ করতে বাধা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে ছান্দের (সাতটি মহল্লা মিলে গঠিত হয় ছান্দ) পঞ্চায়েত ডাকা হয়।
ছান্দ মহল্লার নেতৃবৃন্দরা একতরফাভাবে অলফুজুর রহমান খানের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে তাকে মহল্লার সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার ঘোষনা করেছেন।
এছাড়াও তাকে হাট-বাজারে ও রাস্তাঘাটে নিষিদ্ধ ঘোষনা করার পাশাপাশি মহল্লার ফান্ডের টাকা থেকেও বঞ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সে যেমন কারো সংগে কথা বলতে পারবেনা, তেমনি সেও যাতে কারো সাথে কথা না বলে সে জন্য জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী অলফুজুর রহমান খান জানান, আমি নিরীহ একজন মানুষ। আমার দাদার দান করা জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশের জমিটিও আমাদের পরিবারের। নতুন করে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে আমার জমিতে কলাম স্থাপন করায় আমি প্রতিবাদ করেছি। অথচ মহল্লা ও ছান্দবাসী অযথা আমাকে সমাজচূত্য করা সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যপারে ছান্দ সর্দার এনামূল হোসেন খান বাহারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
২১ শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় তিনি মোবাইল রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলবেন বলে আর মোবাইল রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। এখনো তদন্ত করা হয়নি৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।