১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ১১:৪০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বাহুবলের জীবিত মনিরা ইসির খাতায় মৃত ৮ বছর ধরে

স্বামী সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন ৬৩ বছর বয়সী মনিরা খাতুন চৌধুরী। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তালিকায় সংরক্ষিত তথ্যে আট বছর ধরে তাকে মৃত দেখানো হচ্ছে। ফলে স্থানীয়সহ কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারছেন না তিনি। এমনকি ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নাগরিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

মনিরা খাতুন চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলীর স্ত্রী। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৭৩৬১০৫২৩২৯২৩৭৫। তবে এই ভুল সমাধানে কমিশন বরাবর আবেদন করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছে।

মনিরা খাতুনের ছেলে নাজমুল ইসলাম জানান, “গত দুটি নির্বাচনে তার মা জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড নিয়ে ভোট দিতে গেলে জানানো হয়, তালিকায় তার নাম নেই। ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলেও বলে তার কার্ড সঠিক নয়। মোবাইলের সিম কিনতে গেলেও বলে দেয়া যাবে না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ডাটাবেজে ২০১২ সালে তার স্ট্যাটাসে মৃত লেখা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা মনে করেছিলাম আঞ্চলিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার সময় হয়তো ভুলবশত তার নাম আসেনি বা বাদ দেয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী নতুন তালিকায় তার নাম সংযুক্তির অপেক্ষা করি। কিন্তু পরেও তার নাম আসেনি। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরউজ্জামান বলেন, “২০১২ সালে কোনো কারণে ভুলবশত ডাটাবেজে তাকে (মনিরা খাতুন) মৃত লেখা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ডাটা আপডেট করতে গিয়ে হয়তো যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা ভুল করেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছুই জানাননি এবং কোনো নির্বাচনেও ভোট দেননি।”

তিনি আরও বলেন, “যখন তার তালিকা করা হয়েছে, তখন আমি ছিলামও না। আমি আছি প্রায় চার বছর ধরে। এর মধ্যে যদি তিনি যোগাযোগ করতেন, তবে অনেক আগেই তা ঠিক হয়ে যেত। এখন তার আবেদনটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট হয়ে গেলেই তা ঠিক হয়ে যাবে।”বাহুবলের জীবিত মনিরা ইসির খাতায় মৃত ৮ বছর ধরে