হবিগঞ্জ–৪ (মাধবপুর–চুনারুঘাট) রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের চমক। বহু আলোচনার পর অবশেষে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অলিউল্লাহ নোমানকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত আসনের জরুরি রুকন (সদস্য) সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন দলের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। সম্মেলনস্থলে ঘোষণাটি দেওয়া মাত্রই উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
দলীয় সূত্র জানায়, এই আসনে আগে প্রার্থী ছিলেন জামায়াতের জেলা আমীর মাওলানা মুখলিসুর রহমান। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৌশলগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়—যেখানে জনপ্রিয়তা, গণমাধ্যম উপস্থিতি এবং তরুণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
নেতারা মনে করছেন, অলিউল্লাহ নোমানের বিশ্লেষক পরিচিতি এবং জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নির্বাচনী মাঠে দলের পক্ষে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
ঘোষণার সময় এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন— “হবিগঞ্জ–৪ আসনে নতুন উদ্যম, নতুন নেতৃত্ব এবং তরুণসমর্থনের প্রতীক হিসেবে আমরা অলিউল্লাহ নোমানকে প্রার্থী ঘোষণা করছি। দলের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক ভিশন তিনি সফলভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।”
ঘোষণার পর অলিউল্লাহ নোমান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া না জানালেও দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়—
- তিনি কয়েক মাস ধরে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন ইস্যু নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন
- স্থানীয় সমস্যাগুলো নিয়ে একটি খসড়া নীতি-প্রস্তাব তৈরিও চলছে
- খুব শিগগিরই ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে
হবিগঞ্জ–৪ দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে— “এখানে পরিচিতমুখ ও নতুন প্রার্থীর মিশ্রণে রাজনৈতিক সমীকরণ যে বদলাবে, তা এখনই পরিষ্কার। নোমানের মাঠে নামা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।”
ঘোষণা পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন— “দলের জন্য এটি একটি কৌশলগত এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।”

