৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:০১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ভাঁঙ্গা ভবনে চলছে শায়েস্তাগঞ্জের বন বিভাগীয় অফিস !

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ভাঙা ভবনে চলছে বন বিভাগের কার্যক্রম। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনেই বাধ্য হয়ে কাজ কর্ম সাড়ছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

১৯৬৫ সালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া গ্রামে এক একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় বন বিভাগের এ অফিস। দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে।

অফিসের সামনে নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। অফিসটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। এদিকে বাকি ভবনগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। অফিস ভেঙে মাথায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অফিসের কর্মরতরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসে কর্মরত একজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ভবনগুলোর অবস্থা করুন থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে কী আর করার আছে।

শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ অফিসের পাশেই পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার প্রবীণ মুরব্বী হাজী খোরশেদ মিয়া বলেন, সরকারি একটি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে কেন। বহুদিন ধরেই ভাঙাচোরা অফিসেই কাজ করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নওয়াব আলী জানান, ঠিক কী কারণে রেঞ্জ অফিসটি অবহেলিত আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে সীমানা প্রাচীরসহ একটি সুন্দর রেঞ্জ অফিস করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আব্দুল খালেক জানান, আমাদের এ অফিসের সবগুলো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবগুলো ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও পরিত্যক্ত ভবনেই অফিসের কার্যক্রম চলছে। আবাসিক ভবনগুলোরও একই অবস্থা। হবিগঞ্জ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন জানান, এই রেঞ্জ অফিসটি পুনর্নির্মাণের আওতাধীন আছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে হয়ত কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নতুন করে ভবন নির্মাণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।