১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৭:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মন্ত্রী হচ্ছেন আবু জাহির!

হবিগঞ্জের সর্বমহলে এখন গুঞ্জন চলছে— মন্ত্রী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। অনেকে ধরেই নিয়েছেন এবার হবিগঞ্জ থেকে তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন।

অনেকদিন ধরেই হবিগঞ্জবাসী একজন মন্ত্রীর দাবি করে আসছিলেন। আর রাজনৈতিক, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সব অঙ্গনেই গ্রহণযোগ্য আবু জাহির। যে কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন- এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে কোনো এক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেবেন।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীকেও সুসংঘটিত করে রেখেছেন আবু জাহির। এতে হবিগঞ্জ জেলার কোথাও আওয়ামী লীগের কোন্দল নেই। টুকটাক মনোমালিন্য থাকলেও সেটা ঠিক করে নিয়েছেন নির্বাচনের আগেই।

বিশেষ করে গত ১০ বছরে এলাকার কৃষক, শ্রমিক, জেলে, তাঁতীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজনে ডাকলেই সাড়া দিয়েছেন তিনি। এলাকার সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সৃষ্টি করেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ। যে কারণে সর্বস্তরের লোকজন দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে তার আহ্বান সাড়া দেন যে কোনো কিছুতেই। এরা সবাই তাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, এমনটাই কথা চলছে সর্বমহলে।

হবিগঞ্জ পৌরসভার পাঁচ বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যখন চরম দুঃসময় ছিল তখনও হবিগঞ্জের চারটি আসনেই নৌকা বিজয়ী হয়েছিল। তাই হবিগঞ্জকে বলা হয় দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক মোস্তফা শহীদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে হবিগঞ্জবাসীকে প্রতিদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে হবিগঞ্জের কাউকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই দাবি উঠেছিল হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে মন্ত্রী বানানোর জন্য। এবারও হবিগঞ্জের চারটি আসনে নৌকার বিজয় হয়েছে। সংসদ সদস্য আবু জাহির দলীয় প্রধান এবং তিনবারের এমপি হিসেবে আমরা তাকে মন্ত্রী বানানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

হবিগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী ও সব চা বাগানের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, ‘হবিগঞ্জে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ। এখানে দ্রুত শিল্পায়ন হচ্ছে। বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে পর্যটনের। এছাড়াও বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও ইকনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বাস্তবায়নের স্বার্থে এখানকার একজন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী বানানো জরুরি। দলীয় অবস্থান এবং জেলা সদরের এমপি হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরকে মন্ত্রী বানানো হলে হবিগঞ্জবাসী উপকৃত হবে।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, ‘আবু জাহির এলাকার উন্নয়নে কাজ করে সবার আস্থা অর্জন করেছেন। তাকে মন্ত্রী বানানো হলে হবিগঞ্জবাসী উপকৃত হবে এবং দেশের জন্যও তিনি বড় অবদান রাখতে পারবেন।’

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আবু জাহির বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ছাত্রলীগের সভাপতির পর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। হবিগঞ্জ এখন নৌকার ঘাটি। জনগণ আমাকে ভালোবেসে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি উন্নয়ন করায় এলাকাবাসী আমাকে সর্বদলীয় নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছেন। দলের একজন কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করাই আমার কাজ। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার বার নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিত্ব পাওয়া না পাওয়া একান্তই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। যদি দায়িত্ব পাই তাহলে তার নির্দেশ মেনেই দেশের সেবা করে যেতে চাই।’